মজুদদার-খাদ্য কর্মকর্তায় ‘যোগসাজস’ তদন্ত করবে দুদক

খাদ্য বিভাগের কিছু কর্মকতা ও মজুতদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে চালসহ খাদ্যপণ্য মজুদের অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, এ অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2017, 11:28 AM
Updated : 26 Sept 2017, 11:28 AM

মঙ্গলবার সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় একথা জানান তিনি।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, “খাদ্য বিভাগের কর্মকতাদের সঙ্গে খাদ্যদ্রব্য মজুতদারি কিছু প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক যোগসাজশে, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে খাদ্যদ্রব্য মজুদ করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন বলে কমিশনে অভিযোগ এসেছে।

“আজই কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে। কমিশন সংশ্লিষ্ট আইন পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে একটি স্বচ্ছ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে। এই অবৈধ মজুতদারির সাথে যে বা যারা সংশ্লিষ্ট থাকবেন, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।”

কয়েক মাসে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে মিল মালিকসহ মজুদদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে চালের মজুদ ধরে রাখার অভিযোগ রয়েছে। ‘ঘুষ নিয়ে’ অবৈধ মজুদদারি ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও।

কতিপয় সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীর যোগসাজসে মজুদদারি বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি দামে সবাইকে চালসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য কিনতে হচ্ছে বলে ভাষ্য দুদক চেয়ারম্যানের।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, “চালসহ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেটের টাকা আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

‘দুর্নীতিমুক্ত সরকারি সেবা: দুর্নীতির অভিযোগের প্রকৃতি’ শিরোনামে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওই আলোচনা সভা করেন দুদক চেয়ারম্যান।

রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে দুদক সচিব মো. শামসুল আরেফিনসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সকালে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কমিশনের রাঙ্গামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের নিজস্ব একটি চারতলা ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ইকবাল মাহমুদ।