তার মতে, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা মন্ত্রীর পেছনে ব্যস্ত হয়ে পড়লে অন্য কাজের ক্ষতি হয়।
তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সপ্তম কার্য-অধিবেশনটি ছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় নিয়ে।
জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ভিআইপিদের নিয়ে ব্যস্ত না থাকার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
“চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় অসংখ্য ভিআইপি যায়, প্রটোকল ম্যাজিস্টেট যেতে পারে, ডিসি-এসপি যদি মন্ত্রীর পেছনে এত ছোটাছুটি করে, তাহলে কাজ করবে কখন?
“জেলা প্রশাসকদের অনেক কাজ থাকে। দেশে অনেক সমস্যা, তারা অফিসে ফাইল ওয়ার্ক কখন করবে, আর কখন তারা জনগণের কথা শুনবে। এখানে (ভিআইপিদের নিয়ে ব্যস্ততা) জনস্বার্থ বিঘ্নিত হয়।”
“আমি বলেছি, কেবিনেট সেক্রেটারির মাধ্যমে আপনার বিষয়টি একটু রিভিও করে বিবেচনা করুন ডিসি-এসপির উপস্থিতি মাস্ট হবে কেন, অন্য কেউ তো যেতে পারে। মন্ত্রী গেলে মন্ত্রীর সাথে দেখা করবে, এটি নিয়ম; কিন্তু সারাক্ষণ মন্ত্রীর সাথে থাকার প্রয়োজন নেই,” বলেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের।
কোনো এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন বন্ধে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হলে তা সরাসরি ফোন দিয়ে জানাতে জেলা প্রশাসকদের বলেছেন তিনি।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন, করিমন, ভটভটি ২২ সড়কে নিষিদ্ধ করেছি। বেশকিছু জায়গায় বাস্তবায়ন হয়েছে ভালোই, কিছু কিছু জায়গায় বাস্তবায়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
“কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে, রাজনৈতিক নেতা বা জনপ্রতিনিধিরা বাধা দেন। আমি রুলিং পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি বলছি, কেউ যদি বাধা দেয়, সরাসরি আমাকে জানাবেন।”
এদিকে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত কার্য অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডিসিরা, কমিশনাররা স্থানীয় সরকারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
“তাদের সাথে আমাদের গ্রামের উন্নয়নের বিষয় অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তাদের কিছু সমস্যা ছিল, সেগুলো আমরা আলোচনা করেছি।”
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র হতে সমউন্নয়নের উপর জোর দিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “সার্বিক সম উন্নয়ন যদি না হয়, তাহলে টার্গেট অর্জন করা সম্ভব নয়। কাজেই ডিসিদের নেতৃত্বে আমাদের গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিতে হবে।”
শিশুদের বিনোদনের জন্য, খেলার জন্য খাস জমির বন্দোবস্ত করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।