বুধবার দুপুরের এই সংঘর্ষে আহত নয়জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সবুজ ও দোলন নামে দুই ছাত্রলীগ নেতার অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় বলে কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কামাল হোসেন জানিয়েছেন।
ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা যুবলীগ কর্মী নুরুল মোস্তফা টিনুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত, টিনু নিজেকে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির সমর্থক বলে পরিচয় দেন।
এরপর ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকা টিনু সমর্থক সবুজ ও দোলনের অনুসারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে।
এক পর্যায়ে কলেজের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের একপক্ষের কর্মীদের মধ্যে হলুদ গেঞ্জি পরা এক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা দেখা যায়। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায়।
অস্ত্র হাতে ওই যুবকের পরিচয় পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই যুবক নগরীর চন্দনপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি যুবলীগকর্মী টিনুর অনুসারী।
সংঘর্ষের পর বিকালে কলেজ থেকে নয়জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আনা হয় বলে সেখানকার পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. জাহাঙ্গীর জানান।
আহতরা হলেন- মনির, পারভেজ, জাহিদ, দোলন দে, সোহাগ, ইরফান, বাপ্পী, তৌহিদুল ইসলাম ও সুদীপ্ত।
এদের অধিকাংশের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা কামাল জানান।