বুধবার সচিবালয়ে নিজের কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা মনে করি, একটি নির্ভুল চার্জশিট আমরা দেব। যেহেতু শুধু আমাদের বাংলাদেশি নয়, বন্ধু প্রতীম দেশ জাপান, ইতালি, ইন্ডিয়া এবং আমেরিকার নাগরিকরা এখানে শাহাদত বরণ করেছেন, আহত হয়েছেন; কাজেই কোনো ভুল ছাড়া, কোনো ত্রুটি ছাড়া চার্জশিট দেওয়ার চেষ্টা আমরা নিয়েছি।”
গত বছর ১ জুলাই রাতে কূটনৈতিক পাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে একদল জঙ্গি। তাদের ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও প্রাণ দেন।
পরদিন সকালে সেখানে কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী পাঁচ তরুণ ও ক্যাফের এক পাচক নিহত হন। হামলার ঘটনার দুই দিন পর সন্ত্রাস দমন আইনে ‘অনেককে’ আসামি করে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ওই মামলার তদন্ত করছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, হামলায় যারা সরাসরি অংশ নিয়েছিল তাদের কেউ বেঁচে নেই। হামলার সঙ্গে নানাভাবে জড়িত আরও আটজন বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায়, হলি আর্টিজানের ওই হামলা ছিল ‘টার্নিং পয়েন্ট’।
“টার্নিং পয়েন্ট এই জন্য যে ওই ঘটনার পর আমরা বুঝতে পেরেছিলাম এই জঙ্গিরা কী চায়? কী তাদের উদ্দেশ্য? কারা এদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা কিংবা কারা এর অর্থায়ন করছে।”
তিনি বলেন, “ওই ঘটনা ঘটার পর সবগুলো বিষয় আমরা খুব সুক্ষ্মভাবে দেখেছি এবং সেজন্যই চার্জশিট দিতে একটু সময় নিয়েছি।”
এবার ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরার পথে যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের যাত্রা নিরাপদ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ‘অমানুষিক পরিশ্রম করেছে’ বলে মন্তব্য করেন কামাল।
তিনি বলেন, “আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যানজট নিরসন এবং হাইওয়েগুলো পরিষ্কার রাখা… আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা যথাযথভাবে পালন করেছে বলে আমরা মনে করছি।”