ম্যানিলা টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ৮৯ বিদেশি যোদ্ধা মারাওয়ি শহরসহ মিন্দানাওয়ের বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে ফিলিপিন্সের পুলিশের কাছে।
এর মধ্যে ২৮ জন ইন্দোনেশিয়ার, ২৬ জন পাকিস্তানি, ২১ জন মালয়েশীয়, চারজন আরব, তিনজন বাংলাদেশি, একজন ভারতীয় এবং একজন সিঙ্গাপুরি নাগরিক। বাকি পাঁচজনের জাতীয়তা সম্পর্কে ফিলিপিন্সের গোয়েন্দারা নিশ্চিত হতে পারেননি।
ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র এরনেস্তো আবেলা শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “মিন্দানাওয়ে ৮৯ জন সন্দেহভাজন বিদেশি সন্ত্রাসী থাকার তথ্য কর্তৃপক্ষ যাচাই করে দেখছে। তারা ইন্দোনেশিয়া বা মালয়েশিয়া হয়ে মিন্দানাও দিয়ে ফিলিপিন্সের সীমান্তে প্রবেশ করে থাকতে পারে।”
এ কারণে সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন মুখপাত্র।
ইসনাইলন হাপিলন নামের এক ব্যক্তিকে গত বছর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আইএস এর ‘আমির’ ঘোষণা করা হলে তাকে জীবিত বা মৃত ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপিন্স সরকার।
ওই ঘটনার পর থেকে শহরটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি বাহিনী। দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে অন্তত ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ শহরটি থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। গত শুক্রবার পর্যন্ত ২৮৯ জন জঙ্গি, সরকারি বাহিনীর ৮৯ জন সৈন্য, ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক এই যুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষের ভাষ্য।
ফিলিপিন্স স্টার লিখেছে, মারাওয়িতে নিহত জঙ্গিদের মধ্যে অন্তত আটজন বিদেশি যোদ্ধা রয়েছে।