বনানীর ধর্ষণের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন ১৯ জুন

রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি ’ হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আরো সময় পেয়েছে পুলিশের উইমেন ভিকটিম সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেনশন বিভাগ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2017, 10:14 AM
Updated : 29 May 2017, 10:14 AM

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন নতুন দিন রাখেন। 

আগামী ১৯ জুন তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ঠিক করা হয়েছে বলে এ আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন।

সোমবার মামলার পাঁচ আসামিকেই আদালতে হাজির করা হয়।

এরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী।

আসামিরা সবাই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বনানীর চার তারকা রেইনট্রি হোটেলে গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের দাওয়াতে ডেকে নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৬ মে থানায় একটি মামলা হয়।

আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার দুই বন্ধুসহ পাঁচজনকে তাতে আসামি করা হয়।

বনানী থানা পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ করেন ধর্ষিতাদের একজন। এরপর আসামি ধরতেও পুলিশের অনীহার অভিযোগের মুখে মামলার তদন্তভার পুলিশের উইমেন ভিকটিম সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেনশনকে দেওয়া হয়।

বনানীতে আবাসিক এলাকায় কে ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর বাড়িতে রেইনট্রি হোটেলের মালিকানায় আছে আওয়ামী লীগের সাংসদ বিএইচ হারুনের পরিবার। হোটেলের পরিচালনা পর্ষদে থাকা চার তার ছেলের মধ্যে এইচ এম আদনান হারুন আছেন ওই হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে। তবে দেখাশোনা করেন তার ভাই মাহির হারুন।

মাহিরের বন্ধু পরিচয় দিয়েই সাফাত ধর্ষণের ঘটনার দিন ওই হোটেলে উঠেছিলেন বলে হোটেলকর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন।