প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ঢাকা জেলার ৮৭ শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মেস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের বলেন, সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে ১৬ হাজার শূন্য পদে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে।
“প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২১ হাজারের বেশি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। আমরা ৬৫ শতাংশ দিতে পারব, যা সংখ্যায় ১৬ হাজার। প্রধান শিক্ষকের পদটি এখন দ্বিতীয় শ্রেণি হওয়ায় ৬৫ শতাংশের পদোন্নতির জন্য আমরাই পিএসসিতে সুপারিশ পাঠাব। বাকি ৩৫ শতাংশ তারা (পিএসসি) পূরণ করবে।”
ওই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আপাতত যোগ্যদের মধ্য থেকে অস্থায়ীভাবে চলতি দায়িত্ব দিয়ে স্কুলগুলো পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, পর্যায়ক্রমে বাকি জেলাগুলোর শিক্ষকদের যেদিন তালিকা পাওয়া যাবে সে দিনই চলতি দায়িত্ব দেওয়া হবে।
প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নিয়ে বিদ্যমান সমস্যা দূর করতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, এজন্য একটি কমিটি করা হয়েছে।
অন্যদের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্ততরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আতিকুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।