টানা দ্বিতীয় দফায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত মনিরুল হক সাক্কু সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
Published : 09 May 2017, 12:58 PM
কুমিল্লার এই বিএনপি নেতা মঙ্গলবার ঢাকার জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জাহিদুল কবির ২৪ মে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন রেখে ওইদিন পর্যন্ত সাক্কুর জামিন মঞ্জুর করেন।
সাক্কুর পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন মীর আহমেদ আলী সালাম।
মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানিতে বলেন, “হাই কোর্ট থেকে এ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাক্কু জামিনে ছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা অসৎ উদ্দেশ্যে অভিযোগপত্রে সাক্কুকে পলাতক বলেছেন। সাক্কু জামিনের কোনো অপব্যবহার করেননি।”
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল একই আদালত দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক শাহীন আরা মমতা ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারী ঢাকার রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল হুদা গত বছর ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাক্কু তার ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং এক কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
মামলার এজাহারে সাক্কুর স্ত্রী আফরোজা জেসমিনকে আসামি করা হলেও অভিযোগপত্র থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।
গত ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত মেয়র হন বিএনপি নেতা সাক্কু। এর দুই সপ্তাহ পর নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করলেও এখনও তার শপথ হয়নি।