যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের রাজানগর উপজেলার সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক আকমল আলী তালুকদারসহ চার জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 07 May 2017, 01:46 PM
বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রোববার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ৪ জুলাই সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, মরদেহ গুম, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
মামলার আসামিরা হলেন- মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আকমল আলী তালুকদার (৭৩), আব্দুর নুর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া (৬২), আনিছ মিয়া (৭৬) ও আব্দুল মোছাব্বির মিয়া।
এদের মধ্যে আকমল আলী কারাগারে, বাকিরা পলাতক।
আদালতে প্রসিকিউটর ব্যরিস্টার শেখ মুশফিক কবীর ও ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন উপস্থিত ছিলেন। আর আসামিদের মধ্যে আকমলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবি আবদুস সোবহান তরফদার ও পলাতকদের পক্ষে রাষ্ট্রনিয়োজিত আইনজীবী আবুল হাসান।
প্রসিকিউটর মুশফিক পরে বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই চার আসামির বিরুদ্ধে ‘হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি অভিযোগ’ গঠন করেছে ট্রাইব্যুনাল। বিচার শুরুর দিন ৪ জুলাই সূচনা বক্তব্যের পাশাপাশি প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রস্তুতিও থাকবে।
এর আগে দুই দফা পেছানোর পর গত ১৭ এপ্রিল এই চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ৭ মে দিন ঠিক করেছিলেন।
গত বছরের ৩০ মে পলাতক তিন জনসহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। তার আগে ২৩ মার্চ চার বিরুদ্ধে অভিযোগের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে আনুমানিক ১০২ টি পরিবারের ১৩২ টি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ৬ জনকে ধর্ষণ, ৭ জনকে অপহরণ ও ৬১ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই চার জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
ওই দিনই রাজানগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মাওলানা আকমল আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।