স্মার্ট কার্ড: আঙুলের ছাপ ও আইরিশ নিয়ে সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার

দশ আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি ছাড়াই স্মার্ট কার্ড বিতরণ নিয়ে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 May 2017, 04:50 AM
Updated : 1 May 2017, 04:50 AM

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত সংখ্যক নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিতে নতুন এ প্রস্তাব রেখেছে ইসি সচিবালয়।

কমিশন সচিব আব্দুল্লাহ রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবার আমাদের প্রস্তাব নিয়ে কমিশন বৈঠকে বসবে। এ সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। অনুমোদন পেলে তা দ্রুত কার্যকর করা হবে। সেক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ড নিতে আর আঙুলের ছাপ ও আইরিশের স্ক্যান করার প্রয়োজন হবে না।”

তবে পরবর্তীতে হালনাগাদ ভোটার তালিকা করার সময় নাগরিকদের কেন্দ্রে গিয়ে এ দুটো ফিচার নিবন্ধন করে আসতে হবে বলে জানান তিনি।

২০১৬ সালের অক্টোবরে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরুর সময় ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নয় কোটি নাগরিকের হাতে তা তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ইসির। কিন্তু মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ২০ লাখের মত ভোটারকে স্মার্ট কার্ড দিতে পেরেছেন মাঠ কর্মকর্তারা।

শুরু থেকেই এ কাজে নানা অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি নতুন করে আঙুলের ছাপ ও আইরিশ নিতে গিয়ে বিতরণ বিলম্বিত হচ্ছে।

আঙুলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যানের জন্য নাগরিকদের কেন্দ্রে হাজির থাকতে হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে অনেকে উপস্থিত হতে পারেন না এবং পুরো কাজ শেষ করতেও বেশ সময় লাগে। আবার অনেকের আঙুলের ছাপ না এনআইডি সার্ভারের সংরক্ষিত ছাপের সঙ্গে না মেলার কারণেও জটিলতা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শেষ করতে আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি না নেওয়ার প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

ইসি সচিব বলেন, “আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি ছাড়া স্মার্ট কার্ড বিতরণ করলে কোনো সমস্যা হবে না। কমিশন এতদিন চেয়েছে নাগরিকদের তথ্য যত বেশি নেওয়া সম্ভব তা নেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন স্মার্ট কার্ড দ্রুত বিতরণের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।”

অবশ্য এই প্রস্তাবে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যেও বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেছেন, এতদিন আঙলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যান করেই স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়েছে। এখন তা বাদ দিয়ে স্মার্ট কার্ড দিলে পরে আবার সেসব বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

নাগরিকদের ‘স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র’ দিতে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে ইসি।  প্রকল্পের মেয়াদের দুই তৃতীয়াংশ সময় পরও স্মার্ট এনআইডি বিতরণ শুরু করতে না পেরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও দেড় বছর।

আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহেন্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পের আওতায় বিশ্ব ব্যাংক সহায়তাপুষ্ট এ প্রকল্প ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা।