আঞ্চলিক মোটরযান চুক্তি থেকে পিছু হটলো ভুটান

বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের সঙ্গে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে মোটরযান চুক্তি আপাতত কার্যকর করতে পারছে না বলে জানিয়েছে ভুটান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2017, 06:41 PM
Updated : 28 April 2017, 06:41 PM

সরকারি বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল) মোটরযান চুক্তি অনুসমর্থনে ভুটানের অক্ষমতার কথা শুক্রবার ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

বিবৃতিতে ভুটানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “অন্য তিন দেশ চুক্তিতে অনুসমর্থন দিলেও ভুটানের রাজকীয় সরকার দেশের ভেতরের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের তোলা উদ্বেগগুলোকে আমলে নিয়ে অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া শেষ করার পথে রয়েছে।

“ভুটানের কোনো বাধ্যবাধকতা ছাড়াই তিন সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তি কার্যকরে রয়্যাল সরকার সম্মতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনুসমর্থনের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ভুটানে এই চুক্তি কার্যকর হবে।”

এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটান সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বিবিআইএন মোটরযান চুক্তির বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া জোরদারে আলোচনা করে আসেন।

দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুটান নিজেকে বাদ দিয়ে বাকি তিন সদস্য বিবিআইএন-এমভিএ নামের এ চুক্তি কার্যকরে সম্মতি দেওয়ায় ভারতের পরিকল্পনা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

বাইরে থেকে মালবাহীসহ বিভিন্ন যানবাহন ঢুকে ভুটানের পরিবেশ দূষিত করবে বলে দেশটির ভেতরে বিবিআইএন মোটরযান চুক্তির বিরোধিতা রয়েছে।

ভুটানের বিরোধী দলের সাংসদদের শঙ্কা, বিবিআইএন চুক্তি তাদের পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তা ছাড়া অন্য তিন দেশের যানবাহনকে অবাধ চলাচলের সুযোগ দেওয়া হলে দেশে কর্মসংস্থানে সংকট তৈরি হবে।

বিআইএন-এমভিএ ২০১৫ সালের ১৫ জুন সই হওয়ার পর গত বছর জুলাইতে ভুটানের সংসদের নিম্নকক্ষ এতে অনুমোদন দেয়। কিন্তু ওই বছরের নভেম্বরে চুক্তিটি উচ্চকক্ষে তোলা হলে তা প্রত্যাখ্যান করেন আইনপ্রণেতারা।

চুক্তি অনুমোদনের সংসদের দুই কক্ষের যৌথ বৈঠক ডাকার সুযোগ ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকলেও আগামী বছর নির্বাচনের আগে চুক্তিটি পাস করাতে গিয়ে তিনি কোনো রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে চান না বলে হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হযেছে।