সোমবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয।
কমিটির পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, এসব সমিতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগের সব নথি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠাতে হবে।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, “কমিটির সুপারিশে মন্ত্রণালয় থেকে যে তদন্ত করা হয়েছে, তাতে এসব সমিতির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই কমিটি এসব নথি দুদকের হাতে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে।”
সমবায় অধিদপ্তরের আওতায় সনদপ্রাপ্ত কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভভুক্ত এধরণের সমিতির সংখ্যা দেড় শতাধিক বলেও জানান তিনি।
এদিকে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে রাজশাহী ওয়াসার ‘কনস্ট্রাকশন অফ সারফেইস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রজেক্ট’ কার্যত্ক্রম দ্রুত শুরু করে জনগণের সুপেয় পানি নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়াও রাজশাহীর সোনা দিঘি উদ্ধারি করে আগের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনা, বরিশাল সিটির নিয়োগকৃত কর্মচারীদের অসন্তোষ দ্রুত লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।
বৈঠকে গুলশান বারিধারা লেক প্রকল্প, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির প্রশাসকদের বিরুদ্ধে আনা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪২ জন কমকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়মের কারণে লঘু শাস্তি দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফজলে হোসেন বাদশা।
তবে এসব বিষয়ে কমিটির পক্ষ থেকে আপাতত কোন সুপারিশ আসেনি বলেও জানান তিনি।
গত দুই বছর ধরে ওইসব দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে কয়েকদফা আলোচনা করেছে সংসদীয় কমিটি। তবে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সুপারিশ করেনি।
কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, মো. রহমত আলী, রাজিউদ্দীন আহমেদ, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান এবং ফজলে হোসেন বাদশা।