ঋণ জালিয়াতি: নাহার গার্ডেনের এমডিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বেসিক ব্যাংকের ৩০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির মামলায় নাহার গার্ডেনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিউল ইসলামকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2017, 12:59 PM
Updated : 30 March 2017, 01:04 PM

হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আপিলের অনুমতি দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। শফিউল ইসলামের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

পরে খুরশীদ আলম বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিল শফিউল ইসলাম। পরে দুদক হাই কোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে।

“আজ সেটি মঞ্জুর করার পাশাপাশি শফিউল ইসলামকে বিচারিক আদালতে অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। আত্মসমর্পণ না করলে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য।”

গত বছরের ১৮ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের রাজধানীর পরীবাগ থেকে শফিউলকে গ্রেপ্তার করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের উপ-পরিচালক মুর্শেদ আলম।

পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শফিউলকে কারাগারে পাঠানো হয়। তার পক্ষে নিম্ন আদালতে তার জামিনের আবেদন করা হলেও তা খারিজ হয়।

এরপর চলতি বছরের ২৭ জানিুয়ারি সাইফুলকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় হাই কোর্ট। পাশাপাশি কেন তাকে নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দেয়।

পরে হাই কোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে দুদক। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার শফিউলকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিল আপিল বিভাগ।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখা থেকে ৩০ কোটি টাকা (সুদাসলে ৩৮ কোটি ৭২ লাখ, ৭৪ হাজার ৯৮৪ টাকা) ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে শফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করে দুদক।

ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বন্ধকি সম্পত্তির অতি মূল্যায়ন দেখিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।

মামলার শফিউল ইসলামসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন- নাহার গার্ডেনের চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন, বেসিক ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফখরুল ইসলাম, ডিএমডি ফজলুস সোবহান ও এ মোনায়েম খান, ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার সাবেক শাখাপ্রধান মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, একই শাখার সাবেক অপারেশনস ম্যানেজার সারোয়ার হোসেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রেডিট ডিভিশনের সাবেক ডিজিএম কোরবান আলী, এসডি সার্ভে ফার্মের ব্যবস্থাপনা অংশীদার ইকবাল হোসেন ভূইয়া এবং চিফ সার্ভেয়ার মো. ফারুক।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম জানান, মামলাটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।