মোবাইল টাওয়ার থেকে নিঃসৃত বিকিরণের (রেডিয়েশন) মাত্রা নিরূপনে ঝটিকা সফর চালাবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
Published : 28 Mar 2017, 08:51 PM
মোবাইল টাওয়ারের ঝুঁকি খতিয়ে দেখার নির্দেশ
মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন ক্ষতিকর পর্যায়ের
মোবাইল টাওয়ারে স্বাস্থ্যঝুঁকি: ৩ সংস্থার মূল্যায়ন চায় হাই কোর্ট
লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী বিকিরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অপারেটরদের লাইসেন্স দেওয়ার সময় শর্ত থাকে টাওয়ারে যেন আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা (আইটিইউ) নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রেডিয়েশন না হয়।”
আদালতের নির্দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি চার বছর আগে যে প্রতিবেদন দেয় তাতে মোবাইল টাওয়ার থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশন (বিকিরণ) এর মাত্রা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পর্যায়ের বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে নিয়মিতভাবে বিকিরণ পর্যবেক্ষণ, নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বিটিআরসিকে সুপারিশ করে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
তবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলছেন, টাওয়ার থেকে বেশি মাত্রার হচ্ছে বলে প্রমাণসহ কোনো অভিযোগ তাদের কাছে আসেনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অভিযোগ আসলে তদন্ত করা হবে। রেডিয়েশন নিয়ে অনেক স্টাডি রয়েছে, আপনারা শুনেছেন সেলফোন ব্যবহার করলে ক্যান্সার হয়, এগুলো শুধু অভিযোগ। তবে সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”
আগামীতে টাওয়ার থেকে নিঃসৃত বিকিরণের (রেডিয়েশন) মাত্রা নিরূপণে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি থেকে মঙ্গলবার হাই কোর্ট মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত বিকীরণের (রেডিয়েশন) মাত্রা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মূল্যায়ন প্রতিবেদন নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে।
সংস্থার তিনটির কাছ থেকে বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন প্রতিবেদন নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে হলফনামা আকারে অগ্রগতির প্রতিবেদন আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিতে বলেছে আদালত।
পাশাপাশি ২০১৩ সালের ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশে থাকা ‘বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নীতিমালা’ বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে- তাও ওই দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।