চট্টগ্রামের পটিয়ার ইন্দ্রপুর মহাসড়কের নকশা পুনর্বিবেচনার দাবি নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন কলামনিস্ট আবুল মকসুদ।
বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নাগরিক সমাজের এই প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান দেশ পরিচালনায় ‘সন্তোষ প্রকাশ করেছেন’।
নাগরিক সমাজের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন।
আবুল মকসুদ ও খুশি কবির ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, এএলআরডি'র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম ও মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও বৈঠকে ছিলেন।
বৈঠক শেষে আবুল মকসুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চট্টগ্রামের পটিয়ার একটি রাস্তা প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী করলে মন্দির, শ্মশান ও অসংখ্য হিন্দু বাড়ি ভাঙা পড়বে। সে কারণে রাস্তাটি বিকল্প কোনো উপায়ে করা যায় কি না, সে প্রস্তাব দিতেই আমরা এসেছিলাম।”
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, পটিয়া বাইপাসের সড়কটি আঁকাবাঁকা। পটিয়া থেকে ইন্দ্রপুর হয়ে চট্টশালা পর্যন্ত মহাসড়কের প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে তা ৪০টি হিন্দু বাড়ি, একটি মন্দির, একটি শ্মশানের উপর দিয়ে যাবে।
“এ কারণে এ প্রকল্পের নকশা পুনর্বিবেচনা করতে মন্ত্রীকে বলেছি। তিনি ধৈর্য ধরে আমাদের কথা শুনেছেন। তিনি জায়গাটি পরিদর্শনে যাবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। কোনো মানুষের যাতে ক্ষতি না হয়, তা তিনি দেখবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।”
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান দেশ পরিচালনায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমাদের সরকারের সিদ্ধান্তগুলো যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয়, এর জন্য তারা আমাদের কাছে দাবি জানিয়েছেন।”
রাস্তার নকশা পুনর্বিবেচনার প্রস্তাবের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিবেচনার এখতিয়ার জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি আমাদের দলীয় কিছু না। মন্ত্রী আগামী ১১ ফেব্রুয়ারী সরেজমিনে রাস্তাটি পরিদর্শনে যাবেন বলে তাদের জানিয়েছেন।”