শেকৃবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ৯

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে করায় ৯ পরীক্ষার্থীকে আটক করে র‌্যাবের হাতে তুলে দিয়েছে প্রশাসন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2016, 12:05 PM
Updated : 9 Dec 2016, 12:05 PM

শুক্রবার সকালে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতি করে বলে শেকৃবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এদের মধ্যে কৌশিক রায় ও রোকেয়া খাতুনকে মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে, সাদমান শাহরীজকে মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে, হাসিবুল হাসানকে লালমাটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট কেন্দ্র থেকে শাহমুন নাকিবকে আটক করা হয়।

এছাড়া উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে তানিয়া সুলতানা এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে নুর মোহাম্মদ, আমির হামজা ও খন্দকার আল মামুনকে আটক করা হয়।

শেকৃবি ক্যাম্পাসসহ ঢাকার ১৫টি কেন্দ্রে শুক্রবার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ৫৪০ আসনের বিপরীতে এই পরীক্ষার্থীয় ৩০ হাজার ২৬৫ শিক্ষার্থী অংশ নেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগে ৯ পরীক্ষার্থীকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের র‌্যাব-২ কাছে সোপর্দ করেছে।

“পরীক্ষায় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও ফোন নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও এরা এসবের মাধ্যমে উত্তরপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল।”

আটক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রোকেয়া খাতুন লিখিত স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন, অরিন নামে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার ৩ লাখ টাকায় চুক্তি হয়েছিল।

সাদমান শাহরীজ লিখেছেন, সোহেল নামের একজন তাকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসসহ ভর্তি পরীক্ষায় সহায়তা করেন। সোহেলের সঙ্গে তার ৩ লাখ টাকায় চুক্তি হয়েছিল।

নুর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, রাসেল নামে একজন তাকে পরীক্ষায় সহযোগিতা করে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অর্থ পরিশোধের কথা ছিল। তবে কত টাকায় রাসেলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল সে বিষয়ে কিছু জানাননি এই পরীক্ষার্থী।

এই তিন পরীক্ষার্থী নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে লিখিতভাবে বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে।

আগামী ১৫ ডিসেম্বর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মূল মেধাতালিকা থেকে ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে, ক্লাস শুরু হবে ৩ জানুয়ারি।

মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ’র ৮ গুণ এবং উচ্চ মাধ্যমিকের জিপিএ’র ১২ গুণ নম্বর লিখিত পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে যোগ করে মোট ২০০ নম্বরের উপর মেধাতালিকা করা হবে।

শেকৃবির কৃষি অনুষদে ৩৫০, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদে ৭৫, এনিম্যাল সায়েন্স ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদে ৯০ এবং ফিশারিজ ও একোয়াকালচার অনুষদে ২৫ জনকে ভর্তি করা হবে।