নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধেই সংলাপে বসতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
Published : 06 Dec 2016, 09:51 AM
বিজয় দিবসের পরপরই এ সংলাপের আয়োজন করা হচ্ছে বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের আগে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন রাষ্ট্রপতি।”
প্রেস সচিব কোনো তারিখ না বললেও বঙ্গভবনের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করার কথা ভাবা হচ্ছে।
“প্রথমদিনই বিএনপিকে আলোচনার জন্য ডাকা হতে পারে বলে,” বলেন ওই কর্মকর্তা।
২০১২ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই ‘সার্চ কমিটির’ মাধ্যমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষে নতুন যে ইসি দায়িত্ব নেবে, তার অধীনেই ২০১৯ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।
এবারও ‘সার্চ কমিটি’ করে রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন নিয়োগ দেবেন বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আগেই জানিয়েছিলেন।
নতুন ইসি ও সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির বক্তব্য জানাতে গত নভেম্বর মাসে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সংসদের বাইরে থাকা দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সেখানে যে ১৩ দফা প্রস্তাব তিনি তুলে ধরেন, তার মূল কথা ছিল ‘সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, অথবা স্বাধীনতার পর প্রথম জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন সকল রাজনৈতিক দলের’ মতৈক্যের ভিত্তিতে নতুন ইসি গঠন করতে হবে।
দীর্ঘ দিনের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে সংলাপে রাখতেই খালেদা ওই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে সে সময় দুটি সংবাদত্রে বিশ্লেষণ প্রকাশ করা হয়।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী ইসির শর্ত পূরণ না করায় রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন হারিয়েছে। তবে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকায় জামায়াতেরও সংলাপে যাওয়ার সুযোগ হবে খালেদার প্রস্তাব মানা হলে।
আওয়ামী লীগের নেতারা খালেদা জিয়ার ওই অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। আর প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বলেছে, সংসদের বাইরে থাকা কোনো দলকে এই সংলাপে ডাকার প্রয়োজন তারা দেখছে না।
বিএনপিনেত্রীর প্রস্তাব সম্পর্কে শনিবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “উনার প্রস্তাব উনি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতিকে বলুক। এটা রাষ্ট্রপতি ভালো বুঝবেন, উনি কী পদক্ষেপ নেবেন। রাষ্ট্রপতি যে পদক্ষেপ নেবেন সেটাই হবে। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই।”