চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের সঙ্গে জাতীয় সংসদের সম্পর্ক নিবিড় করার প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
Published : 14 Oct 2016, 07:29 PM
শুক্রবার বিকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে স্পিকার সাংবাদিকদের জানান।
বিকাল ৫টা থেকে ২০ মিনিট ধরে হোটেল লো মেরিডিয়ানে স্পিকারের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল শি’র সঙ্গে বৈঠক করেন।
পরে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, “আমাদের আলোচনায় যেটা প্রাধান্য পেয়েছে সেটা হচ্ছে, ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চায়না এবং আমাদের জাতীয় সংসদের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও সুসংহত করা। আমাদের সংসদ সদস্যরা যাতে আরও এক্সচেঞ্জ ভিজিটে চীনে যাবার সুযোগ পান এবং উনাদের কংগ্রেসের সদস্যরা যাতে বাংলাদেশ সংসদে ভিজিট করতে পারেন সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
“আমি মনে করি, এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও আইনসভার বিষয়গুলো জানা যাবে।”
পরে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চীনের প্রেসিডেন্টকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “বাংলাদেশ একটি চমৎকার সম্ভাবনাময় দেশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে অনেক এগিয়েছে।
“বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের অগ্রগতি অন্য অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে। চীন বাংলাদেশে বিনিয়োগকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় এবং বহু বিনিয়োগকারী এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।”
চীনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে প্রধান হুইপ আ সম ফিরোজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশ ও চীনের সংসদের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করার বিষয়ে সফররত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।”
দুই দেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদের সফর বিনিময়ের বিষয়টি এ সময় তুলে ধরা হয় বলে জানান তিনি।
হুইপ মাহবুব আরা গিনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ফারুক খান ও সংসদ সচিবালয়ের সচিব আবদুর রব হাওলাদার প্রতিনিধি দলে ছিলেন।
এর পরপরই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
এর আগে বিকাল ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে লো মেরিডিয়ান হোটেলে এসে পৌঁছান চীনা প্রেসিডেন্ট।
তিন দশকের মধ্যে চীনের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার বাংলাদেশে এসেছেন শি জিনপিং।