এরা হলেন, শফিকুল ইসলাম রানা (৩৮), মো. আপেল (২৯), মো. ইব্রাহীম (২৮) ও মো. ইমরান (৩০)।
তারা ‘গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে’ অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মত অপরাধ চালিয়ে আসছিল বলে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেনের ভাষ্য।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, শনিবার রাতে রমনা মডেল থানা এলাকার বড় মগবাজার ওয়্যারলেস মোড় থেকে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“শনিবার সন্ধ্যায় তারা মগবাজারের একটি ব্যাংকে ছদ্মবেশে নিজেদের লোক ঢুকিয়ে কে কত টাকা তুলছে সে তথ্য সংগ্রহ করে। পরে গ্রাহকদের কাউকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের পরিকল্পনা ছিল তাদের।”
বাতেন বলেন, এই চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভাগ হয়ে কাজ করে। শহরে তাদের আরও দুই থেকে তিনটি গ্রুপ সক্রিয়।
“আগেও তারা রাজধানীর মিরপুরে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তথ্য পাওয়ার জন্য ওই ঘটনার ভিকটিমকে খুঁজছে গোয়েন্দারা।”
গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই চক্রের কর্মকাণ্ড ব্যাংক কেন্দ্রিক। তারা বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে মাইক্রোবাস, ওয়াকিটকি, নকল পিস্তল ও লাঠি নিয়ে ডিবির জ্যাকেট পরে বসে থাকে। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে কেউ বের হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মামলা আছে বলে গাড়িতে তোলে।”
পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কখনো নগদ টাকার বিনিময়ে ও কখনো বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করে অপহৃত ব্যক্তিকে ছাড়া হয় বলে জানান তিনি।
বাতেন জানান, গুলিস্তানসহ রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে- এমন সরঞ্জাম বিক্রি করা হয়। আইডি কার্ড দেখে নির্দিষ্ট লোকের কাছে এসব সরঞ্জাম বিক্রির কথা থাকলেও সে নিয়ম মানা হচ্ছে না।
মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার মাসুদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।