সড়কপথে ঈদের ‘আনন্দযাত্রা’ অনেকের জন্য ভোগান্তিতে পরিণত হলেও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানালেন, তার কাছে যানজটের কোনো তথ্য নেই।
Published : 09 Sep 2016, 07:06 PM
শুক্রবার বিকালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “মহাসড়কে যানজটের কোন তথ্য নেই। তবে যেহেতু কোরবানি উপলক্ষে পশুবাহী গাড়ি মহাসড়কে চলাচল করছে; সেহেতু গাড়িগুলো ধীর গতিতে চলছে।”
ঈদের ছুটির প্রথম দিন শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পার থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত চন্দ্রা প্রায় ৭০ কিলোমিটার সড়ক এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতু থেকে মেঘনা-গোমতী সেতু (দাউদকান্দি) পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনে ধীরগতির খবর দিয়েছেন কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা।
শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটেও বিপুল সংখ্যক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আটকে থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
গাবতলী ও সায়েদাবাদে কিছু পরিবহনে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে আনন্দ পরিবহনের কাউন্টারে মন্ত্রী নিজেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পান।
এ সময় মন্ত্রী ওই পরিবহনের রুট পারমিট বাতিলের জন্য বিআরটিএকে নির্দেশ দেন বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান।
যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে কোনো ত্রুটি যাতে না হয়, সরকার সে বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে বলেছে বলে জানান তিনি।