প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে কার্যক্রম উদ্বোধনের পরদিন থেকে ঢাকা মহানগরী ও কুড়িগ্রামের রৌমারীতে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র ‘স্মার্টকার্ড’ বিতরণ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
Published : 05 Sep 2016, 06:15 PM
‘স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন’ উপলক্ষে সোমবার প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২ অক্টোবর রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের ৯ কোটি নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেওয়ার জন্য ফ্রান্সের একটি সংস্থার সঙ্গে ইসির চুক্তি রয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পরদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার একটি চরে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। ৩ অক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগরী ও প্রত্যন্ত এলাকায় একযোগে বিতরণ শুরু হবে।”
কার্ড বিতরণে ৭৫টি টিমে দেড় হাজার জন কাজ করবেন জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর ৯৭টি ওয়ার্ডে একটি করে ক্যাম্প থাকবে। ভোটাররা সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পে গিয়ে এখনকার লেমিনেটেড কার্ড জমা রেখে ও ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি দিয়ে নিজের স্মার্টকার্ড নিতে পারবেন।
“২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের ৯ কোটি ভোটারকে স্মার্টকার্ড সরবরাহ করা হবে। এরপর বাকি ভোটারদের স্মার্টকার্ড দিতে আলাদা প্রকল্প নেওয়া হবে,” বলেন ইসি সচিব।
সিরাজুল ইসলাম জানান, ২ অক্টোবরের প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে ইসি সচিবালয়ে বিভিন্ন কমিটি, উপ-কমিটি গঠন ও দায়িত্ব বণ্টনের কাজ চলছে। বিতরণ কাজ দ্রুত ও সুচারুভাবে করতে মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতিও গুছিয়ে আনা হচ্ছে।
প্রচার কাজের সুবিধার্থে কিছু নতুন কৌশলও নিয়েছে ইসি।
“উদ্বোধনী কার্যক্রমের দিন কিছু কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। এসব অনুমোদন হলেই গণমাধ্যমে জানাব। সেইসঙ্গে কোন এলাকায় কতদিন বিতরণ কাজ চলবে, প্রয়োজনীয় যোগাযোগের নম্বরসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শিগগির জানাব আমরা,” বলেন ইসি সচিব।
আয়কর দাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর প্রাপ্তি ও নবায়ন, পাসপোর্ট প্রাপ্তি ও নবায়ন, চাকরির জন্য আবেদন, স্থাবর সম্পত্তি কেনা-বেচা, ব্যাংক হিসাব খোলা ও ঋণ প্রাপ্তি, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, সরকারি ভর্তুকি, সাহায্য, সহায়তা প্রাপ্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিমানবন্দরে ই-গেইট এর মাধ্যমে আগমন ও বহির্গমন সুবিধা, শেয়ার আবেদন ও বিও অ্যাকাউন্ট খোলা, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সংযোগ গ্রহণ, মোবাইল ও টেলিফোন সংযোগ গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের ই-টিকেটিং, সিকিউরড ওয়েব লগ ইন, ই-ফরম পূরণে নাগরিকের সঠিক ও নির্ভুল তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোজনের কাজে ১০ ডিজিটের এই স্মার্টকার্ড ব্যবহার করা যাবে।