প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা এবং আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল হত্যাচেষ্টার ‘অন্যতম হোতা’ আবদুস সবুরকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
Published : 04 Sep 2016, 01:30 PM
শামীম বলেছে, জিয়াই হোতা: পুলিশ
দীপন হত্যা: পুরস্কারের জঙ্গি সিফাত গ্রেপ্তার
লেখক-ব্লগার হত্যা: ছয় জঙ্গিকে ধরতে ১৮ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা
ব্লগার, প্রগতিশীল লেখক ও প্রকাশক হত্যায় জড়িত যে ছয়জনকে চিহ্নিত করে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে সবুরও একজন। তার নামে পুরস্কারের অংক ছিল ২ লাখ টাকা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম রোববার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন থেকে সবুরকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তাকে আদালতে হাজির করে টুটুল হত্যাচেষ্টা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
ব্রিফিংয়ে মনিরুল বলেন, ২৩ বছর বয়সী সবুর আনাসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। বিভিন্ন সময়ে তিনি সামাদ, সুজন, রাজু ও সাদ নামও ব্যবহার করেছেন।
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে, টুটুল হত্যাচেষ্টায় জড়িত আনাসারুল্লাহ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, ঘটনাস্থল রেকি করা এবং হামলা পরিকল্পনা তৈরি করা ছাড়াও ওই ঘটনার সার্বিক দায়িত্বশীল একজন ছিল সে।”
সবুর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে আনাসারুল্লাহ বাংলা টিমের একটি বোমা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে বাড্ডার সাঁতারকুলে ওই সংগঠনের নতুন এক আস্তানায় নিজেও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন বলে জানান মনিরুল।
ওই দুই প্রকাশনা থেকেই বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশিত হয়েছে, যিনি গতবছর ফেব্রুয়ারিতে জঙ্গি কায়দার হামলায় নিহত হন।
লেখক, প্রকাশক হত্যায় জড়িত ছয়জনকে চিহ্নিত করে তাদের ধরিয়ে দিতে গত মে মাসে ১৮ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ।
সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সালমান ওরফে সাদের বাড়ি কুমিল্লা অঞ্চলে। তিনি ধর্মীয় জিহাদের বয়ান দিয়ে থাকেন বলে পুলিশের হাতে প্রমাণও রয়েছে।
ওই তালিকায় নাম মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাতকেও গত ২৪ অগাস্ট টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে দীপন হত্যার দায় স্বীকার করে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এছাড়া টুটুল হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সুমন হোসেন পাটোয়ারি নামে আরেকজনকে গত ১৫ জুন ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনিও আদালতে স্বীকারেক্তি দিয়েছেন।
রোববার পুলিশের সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সুমন ও শামীম জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই টঙ্গী থেকে সবুরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।