দেড় মাস আগে বানের পানিতে আসাম থেকে ভেসে আসা হাতি ‘বঙ্গবাহাদুরের’ শেষ ঠিকানা হতে যাচ্ছে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার কয়রা গ্রাম।
Published : 16 Aug 2016, 03:14 PM
মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামে হাতিটির মৃত্যু হয়। বিকালে সেখানেই হাতিটিকে মাটিচাপা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অবসরোত্তর ছুটিতে থাকা উপ প্রধান বন সংরক্ষক তপন কুমার দে।
তিনি বলেন, “হাতির ভিসেরা পরীক্ষার জন্যে নমুনা সংগ্রহ করে মহাখালীর বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হবে। প্রয়োজনীয় নমুনা নেওয়ার পর বিকালে কয়রা গ্রামেই তাকে মাটিচাপা দেওয়া হবে।”
মাটিচাপা দেওয়ার জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজে বের করতে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
“যে বিলে হাতিটি মারা গেছে সেখান থেকে মরদেহ টেনে নিয়ে কয়রা গ্রামে মাটিচাপা দেওয়া হবে।”
এদিকে হাতির মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছেন সরিষাবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ভারতের আসাম থেকে গত ২৬ জুন বানের জলে ভেসে কুড়িগ্রাম সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে আসার পর চার জেলায় চষে বেড়ায় পাঁচ টন ওজনের ওই পুরুষ হাতি।
এক মাসের বেশি সময় ধরে পিছু পিছু ঘোরার পর গত ১১ অগাস্ট ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে অচেতন করে ডাঙ্গায় তোলা হয় হাতিটিকে। পায়ে শিকল ও রশি দিয়ে একটি আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে শুরু হয় সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া। নাম দেওয়া হয় বঙ্গবাহাদুর।
পর্যাপ্ত খাবার, ঘুম ও সঙ্গীহীন অবস্থায় দুর্বল হয়ে পড়া বুনো হাতিটিকে সাফারি পার্কে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বন বিভাগের উদ্ধারকর্মীরা।
কিন্তু এরই মধ্যে রোববার সকালে হাতিটি শেকল ছিঁড়ে ছুট দিলে আবারও ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে অচেতন করা হয়। পরে হুঁশ ফিরলেও অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। মঙ্গলবার ভোরে কয়রা গ্রামের বাদা বিলে বঙ্গবাহাদুর মারা যায়।