ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
Published : 08 Aug 2016, 06:06 PM
বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে কুষ্টিয়া হয়ে যশোর-খুলনায় রেল যোগাযোগ রয়েছে। মাওয়ায় পদ্মা সেতু হলে ফরিদপুর হয়ে ট্রেন যাবে যশোরে।
‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ’ প্রকল্প নামের এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল লাইন নির্মাণ করা হবে বলে রেলপথ সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন।
সোমবার রেল ভবনে রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন এবং চীনের প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের (সিআরইসি) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ঝ্যাং শুকাই এ চুক্তিতে সই করেন।
বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোর নির্মাণ কাজ চলছে এখন। ২০১৮ সাল নাগাদ এই সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার।
ওই সময় পদ্মাসেতুতে ট্রেন চলাচলও শুরু করা সম্ভব হবে আশা প্রকাশ করে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক অনুষ্ঠানে বলেন, “নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম সময়ে এই রেলপথ নির্মাণ করে দেবে বলে আশা করি।”
রেলওয়ের মাহপরিচালক আমজাদ হোসেন জানান, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ ২৭ হাজার ৬৫২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা নেবে।
গত ৩ মে একনেকে অনুমোদিত এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০ বছর মেয়াদে ২৪ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে চীন, যার জন্য সুদ গুণতে হবে ২ শতাংশ হারে। বাকি ১০ হাজার ২৪০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে।
এ প্রকল্পের আওতায় ১৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল লাইন নির্মাণ ছাড়াও ১৪টি নতুন স্টেশন ভবন ও ছয়টি স্টেশন পুনর্নির্মাণ, ৬৬টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু এবং ২৪৪টি ছোট সেতু নির্মাণ, ১০০টি নতুন রেলকোচ কেনা এবং আধুনিক সিগন্যা ল সিস্টেম এর জন্য অপটিক্যাল ফাইবার লাইন স্থাপন করা হবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং, সিআরইসি গ্রুপের চেয়ারম্যান লি চ্যাংজিনসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।