রোববার বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ২৫ এপ্রিল বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।
নতুন আইনে এক হাজার ৫০০ মিটার বা তার চেয়ে বড় দৈর্ঘ্যের সেতু ও টানেল, টোল সড়ক, ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে ও অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সেতু বিভাগের আওতায় থাকবে।
এছাড়া সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন স্থাপনা ও সংরক্ষিত অংশের জন্য এর ব্যবহাকারী কোনো সংস্থা-ব্যক্তি বা যানবাহনের ওপর ফি বা টোল ধার্য ও আদায়ের দায়িত্বও থাকবে কর্তৃপক্ষের।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সেতু বিভাগের অধীনস্ত একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। আর সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৮ সালে গঠিত হয় সেতু বিভাগ।
বিলে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব বোর্ডের ওপর থাকবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান এবং সেতু বিভাগের সচিবকে ভাইস চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্যের এ বোর্ড গঠিত হবে।
প্রশাসন বোর্ড কর্তৃপক্ষের আওতাধীন স্থাপনাগুলো নির্ধারিত শর্তে ও সময়ের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দিতে পারবে।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কোনো সেতু, টানেল টোল সড়ক আ কর্তৃপক্ষের অন্য স্থানে যানবাহন চলাচলে বাধা দিলে; কর্তৃপক্ষের কোনো বিজ্ঞপ্তি সরিয়ে ফেললে, সারি ভেঙে টোল ঘরে কাছে জট সৃষ্টি করলে ১০ হাজার জরিমানা হবে।
এ আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটি অর্ডিন্যান্স-১৯৮৫’ রহিত হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সেতু, টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ কারিগরি দিক হতে জটিল প্রকৃতির অন্যান্য অবকাঠামো নির্মান ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশের সেতু কর্তৃপক্ষ নোমে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা ও তদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান প্রণয়ন এবং সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে বর্ণিত সময়ে জারিকৃত ‘যমুনা মাল্টিপারপাস ব্রিজ অথরিটি অর্ডিন্যান্স-১৯৮৫, যা ২০০৭ সালে বাংলায় অনুদিত এর কার্যকারিতা জনস্বার্থে বহাল ও অক্ষুণ্ণ রাখার লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।”