রেলের সম্পত্তি চুরি বা অবৈধ দখল ঠেকাতে আগের মতোই সাত বছরের জেল-জরিমানার বিধান রেখে নতুন ‘রেলওয়ে সম্পত্তি (অবৈধ দখল উদ্ধার) বিল- ২০১৬’ সংসদে পাস হয়েছে।
Published : 24 Jul 2016, 11:07 PM
রোববার সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। পরে সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ৯ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর সেটি বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।
সামরিক শাসনামলে ১৯৭৯ সালে জারি করা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশটি বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি পাস করা হয়েছে।
বিলে রেলওয়ে সম্পত্তি চুরি, অবৈধ দখলের দণ্ড সর্বোচ্চ সাত বছর এবং এই অপরাধে সহায়তার জন্য পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কোন সদস্যের কাছে যদি মনে হয় কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন অপরাধ করছে করছে তবে তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করা যাবে।
বিলে বলা হয়েছে, তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাহিনীর কর্মকর্তা কোন ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া, দলিল দাখিল বা উপস্থিতির নিশ্চিতে সমন জারি করতে পারবে।
এই আইনের অধীন অপরাধ করার সময় ব্যবহৃত বস্তু, যন্ত্রপাতি, প্রাণি, যানবাহন বাজেয়াপ্ত করার এবং তা রেলওয়ে সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে বলে বিলে বলা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে রেলমন্ত্রী বলেন, প্রজাতন্ত্রের কাজের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন এবং জনগণের আইনানুগ অধিকারগুলো জনস্বার্থে বহাল ও অক্ষুণ্ন রাখার জন্য সামরিক আমলে জারি করা অধ্যাদেশগুলোর মধ্যে কিছু অধ্যাদেশ কার্যকর করার লক্ষ্যে নতুন এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।