নতুন হুমকির ভিডিওতে ৩ তরুণের মুখ

গুলশানে হামলাকারীদের প্রশংসা করে বাংলাদেশে আরও  জঙ্গি হামলার হুমকি দিয়ে আইএসএর এক নতুন ভিডিওর খবর দিয়েছে সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2016, 05:50 AM
Updated : 31 July 2016, 07:18 PM

ওই ভিডিওতে তিন তরুণকে বাংলায় কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। সাইটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে বলা হচ্ছে, ওই বার্তা এসেছে সিরিয়ার আইএস কথিত রাজধানী আর রাকা থেকে।

আইএস এর পতাকা সম্বলিত ভিডিওতে তিন তরুণের মধ্যে একজনের মুখ ছিল কাপড়ে ঢাকা, আরেকজনের মুখভর্তি দাড়ি।

তাদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপের প্রধান রিটা কাটজ গুলশানের ঘটনার দিকে ইংগিত করে মঙ্গলবার এক টুইটে লিখেছেন “ওটা ঝলক মাত্র... বারবার ঘটবে।”

ওই ভিডিও এবং তিন হুমকিদাতার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে; চেহারার মিলের কারণে কেউ কেউ তাদের সম্ভাব্য পরিচয়ও বলছেন। তবে যাচাই করা সম্ভব না হওযায় এখানে তা প্রকাশ করা হল না। 

ভিডিওতে আইএসএর বার্তা ও মতবাদের প্রচারে আরবির সঙ্গে বাংলা তর্জমাও দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আইএস এর হামলার নমুনার সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির ছবিও। এতে সমালোচনা করা হয়েছে বাংলাদেশের সরকার ও গণতন্ত্রের।

ভিডিওতে এক তরুণকে বলতে শোনা যায়, ‘শেখ আদনানির’ নির্দেশে তারা ‘খ্রিস্টান, ইহুদি ক্রুসেডার ও তাদের মিত্রদের’ বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ করছে এবং তা কোনোভাবেই ‘কৌতুক নয়’।  

গত শুক্রবার রাতে একদল অস্ত্রধারী জঙ্গি গুলশানের ওই ক্যাফেতে হামলা চালালে দেশি বিদেশি অতিথিরা সেখানে জিম্মি হন। হামলাকারীদের ঠেকাতে গিয়ে বোমায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়।

আইএস ওই হামলার দায়ী স্বীকার করেছে বলে হামলার রাতেই খবর দেয় সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ। নিহত কয়েকজনের ছবি এবং পরে হামলাকারী হিসেবে পাঁচজনের ছবিও তারা প্রকাশ করে।

অবশ্য বাংলাদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গুলশানের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি। 

ওই হামলার পর শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের উপর আস্থা রাখুন। ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আমরা যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”