সাইটের ওয়েবসাইটে ‘হামলাকারীদের’ ছবি প্রকাশ

পাঁচ তরুণের ছবি প্রকাশ করে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ বলছে, ঢাকার গুলশানে ক্যাফেতে এরাই হামলা চালিয়ে অন্তত ২০ জনকে হত্যা করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2016, 04:27 PM
Updated : 31 July 2016, 06:48 PM

শনিবার রাত ১০টার দিকে সাইটের টুইটার একাউন্টে ছবিগুলো প্রকাশ করা হয়। রাইফেল হাতে এই তরুণদের ছবিগুলো কখন তোলা, তাও স্পষ্ট নয়।

এদিকে টেররিজম মনিটরের টুইটার একাউন্টে একই তরুণদের ছবি দিয়ে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে- আবু উমায়ের, আবু সালমা, আবু রাহিক, আবু মুসলিম ও আবু মুহারিব।

আইএসই এই ছবি প্রকাশ করেছে বলে জঙ্গি হুমকি পর্যবেক্ষণকারী ওয়েসসাইটটির পরিচালক রিটা কাটজ তার টুইটার একাউন্টে বলেন, যার তৎপরতা নিয়ে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন।

রিটা কাটজের টুইটে লেখা হয়েছে, “বাংলাদেশ হামলায় ৫ হামলাকারীকে চিহ্নিত এবং ছবি প্রকাশ করেছে আইএসআইএস।”

এই ছবিগুলোর সত্যতা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা যায়নি।

এদিকে পুলিশ শনিবার রাতে নিহত পাঁচজনের লাশের ছবি প্রকাশ করেছে। দুই ছবির অন্তত চারজনের চেহারার মিল ধরা পড়ে। বাকি একজনের ছবি একই ব্যক্তির কি না, তা স্পষ্ট নয়।

পুলিশের সরবরাহ করা লাশের ছবি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রকাশ না করায় তা ঝাপসা করে দেওয়া হলো।

গুলশানে জঙ্গি হামলায় জড়িতদের পাঁচজন চিহ্নিত জঙ্গি বলে পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক ইতোমধ্যে বলেছেন। তাদের খোঁজা হচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশ এই পাঁচজনের নাম বলেছে- আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন ও রিপন। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।

গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজেন বেকারিতে হামলাকারী ছয়জন শনিবার সকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন। আরও একজন ধরা পড়েন বলেও জানান তিনি।   

শুক্রবার রাতে ওই ক্যাফেতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে ঢুকে বিদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে বন্দুকধারীরা।

সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই খাবার দোকানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ২০টি লাশ পাওয়া যায়, যাদের গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহতদের অধিকাংশই বিদেশি নাগরিক। 

সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে কয়েকজনের রক্তাক্ত ছবিও প্রকাশ করে বলা হয়, এরা গুলশানের ক্যাফেতে নিহত হয়েছেন।

বাংলাদেশে গত দেড় বছরে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডে আইএসের নামে বার্তা প্রকাশের খবর এলেও সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে, দেশীয় জঙ্গিরা অপরাধ করে আন্তর্জাতিক সংগঠনের নাম ভাঁড়াচ্ছে।

গুলশানের ঘটনায়ও আইএসের ‘দায় স্বীকারের’ পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন পুলিশ প্রধান শহীদুল।

তিনি বলেন, “কোনো হামলার ঘটনা ঘটলে আইএস দায় স্বীকার করে। আমেরিকায় হামলার ঘটনা ঘটলেও আইএস দায় স্বীকার করে। আইএসের দায় স্বীকারের লিংক খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে।”