এবার অনেক যাত্রীকে ডেকেও টিকেট বিক্রি করেছি: রেলমন্ত্রী

ঈদযাত্রার রেলওয়ের ব্যবস্থাপনা সন্তোষ প্রকাশ করে মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, এবার যাত্রীদের ডেকে ডেকেও টিকেট বিক্রি করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2016, 11:09 AM
Updated : 1 July 2016, 12:47 PM

শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, “এবারের ঈদযাত্রায় আমাদের ব্যবস্থাপনা খুব ভালো। টিকেট সহজলভ্য ছিল বলে যাত্রীদের কোনো ঝামেলা হয়নি। এবার তো আমরা অনেক যাত্রীকে ডেকেও টিকেট বিক্রি করেছি।”

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হবে না বলে আশ্বাস দিলেও শুক্রবার সকালে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস যথাসময়ে ঢাকা ছেড়ে যেতে পারেনি।

ধূমকেতু সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের পরিবর্তে সকাল সাড়ে ৭টায়, সুন্দরবন সকাল ৬টা ২০ মিনিটের পরিবর্তে সকাল ৮টায় কমলাপুর ছেড়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী মুজিবুল বলেন, ‘যান্ত্রিক ত্রুটির’ কারণে দুটি ট্রেন দেরিতে স্টেশন ছেড়েছে।

শুক্রবার ঈদের ছুটি শুরু হলেও কমলাপুর রেল স্টেশনে সকালে দেখা যায়নি তেমন ভিড়; কেউ কেউ দুপুরে স্টেশনে এসেও ঈদের টিকেট পেয়েছেন। অবশ্য দুপুরের পর বাড়তে থাকে যাত্রীদের ভিড়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৬ জুলাই বুধবার ঈদ ধরে এবার ৫, ৬ ও ৭ জুলাই রোজার ঈদের ছুটি নির্ধারিত আছে। আর ৩ জুলাই রোববার শবে কদরের ছুটি। মাঝের একমাত্র কার্যদিবস ৪ জুলাই সোমবারও সরকার ছুটি ঘোষণা করায় এবার ঈদে টানা নয় দিন ছুটি পেয়েছেন অনেকে।

চট্টগ্রামগামী ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম তালুকদার বলেন, “ঈদ কেন্দ্র করে বছরে একবার যাওয়া হয় বাড়িতে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে ছুটি বাড়ানোতে সবার জন্য সুবিধা হয়েছে। আর বাড়ি যাওয়া তো সবসময়ই আনন্দের।”

ঢাকায় ব্যবসা করেন চট্টগ্রামের শহীদুল ইসলাম।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এবার টিকিট কাটতে কোনো ঝামেলা হয়নি। বাড়ি যাওয়া যে কী আনন্দের সেটা বলে বোঝানো যাবে না।”

৬ জুলাই ঈদ ধরে গত ২২ জুন ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়। সেদিন ১ জুলাইয়ের এবং তারপর ধারাবাহিকভাবে ২৩ থেকে ২৭ জুন ‍পর্যন্ত ২ থেকে ৫ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হয়।

ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু হবে ৪ জুলাই থেকে, চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত। ওই সময়ে ৮ থেকে ১২ জুলাইয়ের ফিরতি টিকেট পাওয়া যাবে।

এবার ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রির শেষ দিন কমলাপুর রেল স্টেশনে ছিল না তার ‘চিরচেনা ভিড়ের রূপ’।

অগ্রিম টিকেট না কেটে দুশ্চিন্তায় থাকার কথা জানিয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ির মেহেদী হাসান বলেন, “দুপুর ২টায় কাউন্টারে এসেও টিকিট পেয়ে গেলাম। কোনো ঝামেলা নেই।”