চট্টগ্রামে জালিয়াতি অনিবন্ধিত সিম দিয়ে: বিটিআরসি  

গ্রাহক বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করানোর দাবি করলেও বিটিআরসি বলেছে, চট্টগ্রামে জালিয়াতি করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় ব্যবহৃত হয়েছে অনিবন্ধিত সিম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2016, 01:27 PM
Updated : 25 May 2016, 01:27 PM

বুধবার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে সমসাময়িক অবস্থা ও অভিযোগ জানাতে একটি শর্টকোড উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার একজন নারী গ্রাহক অভিযোগ করেন, তার নিবন্ধিত রবি সিমটি তার অগোচরে অন্য একজন নতুন করে তুলে নিয়ে তার বিকাশ একাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা সরিয়ে নেয়।

নুরুন্নাহার নামে ওই নারী পুলিশের কাছে দাবি করেন, তার সিমটি নিবন্ধন করানো ছিল। গত ২১ এপ্রিল তা হঠাৎ বন্ধ পেয়ে রবি সেবা কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারেন, সিমটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে অন্য একজনের মাধ্যমে।

এরপর বৈধ মালিক হিসেবে নুরুন্নাহার পুনরায় ওই সিম তোলার পর দেখতে পান, তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে থাকা ২০ হাজার ৪০০ টাকা তুলে ফেলা হয়েছে।

বিটিআরসি মহাপরিচালক বলেন, “যে গ্রাহক (নুরুন্নাহার) অভিযোগ করেছেন, তার সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা ছিল না।”

নুরুন্নাহার সাতকানিয়া থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ সিম প্রতিস্থাপনের সময় ব্যবহৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর নিয়ে কুতুব উদ্দিন (৩২) ও মো. ফরহাদ (৩০) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার দুজন

এই দুজন আগে বিকাশ এজেন্ট ও সিম ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন বলে পুলিশের তথ্য।

এই জালিয়াতির ক্ষেত্রে রবির কোনো দায়ও দেখছেন না এমদাদ বারী।

তিনি বলেন, “বিকাশ যে ধরনের কাজ করে ট্রানজিকশন হলে পিন কোড দরকার হয়, বিকাশ এই পিনকোড দেয় এখানে মোবাইল অপারেটরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

“ট্রানজেকশন পিনকোড ছাড়া সম্ভব নয়। এই এজেন্ট গ্রাহকের অসাবধানতার জন্য পিনকোড জেনেছে, পরবর্তী সময় গ্রাহকের সিমটাকে প্রতিস্থাপন করেছে।”

তিনি জানান, বিদ্যমান আইনে সিম প্রতিস্থাপন হলে ৪৮ ঘণ্টা বিকাশ সার্ভিস বন্ধ থাকে, যাতে বিকাশ সার্ভিস যারা দেয় তারা এটাকে নিবন্ধন করে নিতে পারে।

“আমাদের ধারণা বিকাশের সহায়তা ছাড়া একাজ করা সম্ভব ছিল না।”

এই জালিয়াতিতে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন সহায়ক হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিটিআরসি মহাপরিচালক।  

“বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন হওয়াতে খুব সহজেই চিহ্নিত করা যাচ্ছে, যে এজেন্ট সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করেছে, তার ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাই করে তাকে ধরা হয়েছে।”

বিটিআরসি কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানে সংস্থার চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান উপস্থিত ছিলেন।