‘ইসলাম বিতর্ক’ বই প্রকাশের জন্য তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করে সেই মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তিনজনকে।
Published : 16 Feb 2016, 04:38 PM
বইটির প্রকাশনা সংস্থা ব-দ্বীপের মালিক ও বইটির সম্পাদক শামসুজ্জোহা মানিক, ছাপাখানা শব্দকলি প্রিন্টার্সের মালিক তসলিমউদ্দিন কাজল এবং ব-দ্বীপের বিপণন শাখার প্রধান শামসুল আলম। শামসুল প্রকাশনা সংস্থাটির মালিক মানিকের ভাই।
‘ইসলাম বিতর্ক’ বইটিতে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ হানার উপাদান রয়েছে দাবি করে বাংলা একাডেমির সায় নিয়ে সোমবার রাতে একুশের বইমেলায় ব-দ্বীপের স্টলটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
এরপর রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মঙ্গলবার শাহবাগ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান ডিএমপির উপ-কমিশনার আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, “গতকাল ৬ কপি বই জব্দ করা হয়েছিল, গ্রেপ্তারের সময় আরও ৭৫ কপি জব্দ করা হয়। আমরা পড়ে দেখেছি, বইটিতে সাংঘাতিকভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে।”
এই বই প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রকাশকের কোনো দুরভিসন্ধি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই আইনে কেন- জানতে চাইলে উপ-কমিশনার বাতেন বলেন, “একটি ওয়েবসাইটে এই বইটি অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে, তাই তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে।”
এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিনজনকে সাত দিনের জন্য রিমান্ডে চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার পুলিশের একটি দল বইমেলায় ব-দ্বীপের স্টলটি বন্ধ করে দেয় এবং বই জব্দ করে।
তখন শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা থেকে পুলিশ জানতে পারে যে ‘ইসলাম বিতর্ক’ বইয়ে ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে।
এরপর অনুসন্ধান চালিয়ে তারা ‘প্রমাণ’ পাওয়ার পর বাংলা একাডেমির সঙ্গে কথা বলে স্টল বন্ধের ব্যবস্থা নেয়।
অন্যদিকে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ আমাদের বলেছে, ‘ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে- এমন বই প্রদর্শিত হচ্ছে। স্টলটি নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ’। এ কারণে প্রকাশনীটির স্টল বন্ধ করা হয়েছে।”