রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে প্যানেলভুক্তদের নিয়োগের পথ খুলেছে।
Published : 11 Feb 2016, 12:26 PM
প্যানেলভুক্ত ১০ শিক্ষককে নিয়োগ দিতে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজের পর তা পুর্নবিবেচনা চেয়ে করা রিভিউ আবেদনও খারিজ করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাচ সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ আপিলের রায় পুর্নবিবেচনা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে।
এর ফলে প্যানেলভুক্ত ১০ শিক্ষকের নিয়োগের পথ আরও সুগম হল বলে জানিয়েছেন তাদের অন্যতম আইনজীবী মো. ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।
তবে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল আমাতুল করীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিলম্ব হওয়ায় আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণ দিয়ে রিভিউ আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে।
“এ রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সরকারের নীতি বাস্তবায়নে প্রভাব ফেলবে না বলে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।
আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। তাদের সহায়তা করেন আইনজীবী আইনজীবী মো. ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল আমাতুল করীম।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উপজেলাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তির ৩ নম্বর শর্তে উল্লেখ করা হয়।
এ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভিত্তি করে ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল পরীক্ষায় উত্তীণ ৪২ হাজার ৬১১ জনের একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়।
এর আগে ২০১২ সালের ২১ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর এক পরিপত্রে ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের কথা জানায়।
এরপর ২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়।
তখন নিয়োগবঞ্চিত ও প্যানেলভুক্ত মো. শফিকুল ইসলাম জুয়েলসহ নওগাঁর ১০ প্রার্থী ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও নিয়োগের নির্দেশনা হাই কোর্টে রিট চেয়ে আবেদন করে।
আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৮ জুন তাদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়ে ইউনিয়নভিত্তিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় আদালত। এর বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অন্যরা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।
এই লিভ টু আপিল গত বছরের ৭ মে খারিজ হয়। রাষ্ট্রপক্ষ তা পুর্নবিবেচনা চেয়ে আবেদন করে; শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার খারিজ হয়।
পরে ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্যানেলভুক্ত এই ১০ শিক্ষকের বাইরেও পৃথক ৪৯০টি রিট আবেদন ইতিপুর্বে হাই কোর্টে নিষ্পত্তি করে প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেয়। এর সংখ্যা ১৫ হাজার হতে পারে।