শনিবার সন্ধায় রাজধানীর খামার বাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে তিনি এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, “আজকাল অভিভাবকরা মনে করে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেই সন্তানরা ভাল কিছু করতে পারবে, তাই সন্তানদের কারিগরি শিক্ষা দিতে চায় না। আসলে বড় সার্টিফিকেট বড় কাজে লাগে না।
“তবে কিছু কিছু অভিবাবক তা বুঝতে শুরু করেছে। কোনটার চাহিদা আছে তা আগে দেখতে হবে।”
সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি প্রশিক্ষণের পর চাকরি পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নাহিদ বলেন, “আশা করি ২০২০ সালের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা নিবে। আর ৬০ ভাগ শিক্ষার্থীকে কারিগরি শিক্ষা না দিলে দেশ এগোবে না।”
কারিগরি শিক্ষায় মেয়েদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মেয়েরা এতই আগ্রহী যে, তাদের কথা বিবেচনা করে শুধু মেয়েদের জন্য সাতটি পলিটেকনিক করা হচ্ছে।”
“শিক্ষায় ব্যবসা করে কেউ টিকে থাকতে পারবে না। যে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে এগুলো আর ফিরে পাবে না। এর মধ্যে কয়েকটি আদালতে থেকে তাদের পক্ষে রায় নিয়ে এসেছে। তবে এরাও টিকে থাকতে পারবে না। কারণ প্রতিষ্ঠান হয় পড়াশোনার জন্য, সার্টিফিকেট বিক্রির জন্য নয়।”
সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা পাবে এটা দুনিয়ার কোথাও সম্ভব নয় মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হবে গবেষণা কেন্দ্র। যেখানে নতুন কিছু আবিষ্কৃত হবে। এর জন্য প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
এবছর শতকরা নিরানব্বই জন শিশুকে নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সাইক গ্রুপ অব ইনস্টিটিউশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবু হাসনাত মো. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরর অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিশ্ব ব্যাংক এর সিনিয়র অপারেসন্স অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।