এ উপলক্ষে শনিবার মাছিমদিয়া গ্রামে সুলতান কমপ্লেক্সে কোরআনখানি, শিল্পীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত, দোয়া, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসন এসব কর্মসূচি আয়োজন করে।
সকালে শিল্পীর কবরে জেলা প্রশাসন, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন, নড়াইল প্রেসক্লাব, এস এম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর শিশুস্বর্গের শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শতাধিক শিশু অংশ নেয়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম নাজিমউদ্দিন, এস এম সুলতান বেঙ্গল আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ অশোক কুমার শীল প্রমুখ।
পরে আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
১৯২৪ সালের ১০ অগাস্ট তৎকালীন মহকুমা শহর নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মো. মেছের আলি ও মোসাম্মাৎ মাজু বিবির সন্তান শিল্পী এস এম সুলতান।
১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান।