ভর্তি পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বহিষ্কার করেছে বেতন কাঠামো নিয়ে আন্দোলনরত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
Published : 07 Oct 2015, 08:35 PM
স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা শুরুর দুই দিন আগে বুধবার তা বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
বিকালে তাদের ঘোষণার পর সন্ধ্যায় ফেডারেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলা হয়, বুধবার থেকেই এটি কার্যকর হবে।
বহিষ্কারের কারণ দেখিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১০ সেপ্টেম্বর ফেডারেশনের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এই আন্দোলন পরিচালিত হবে ফেডারেশনের কর্মসূচিতে। আলাদা কোনো কর্মসূচি কেউ দিতে পারবে না। যদি কেউ ফেডারেশনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করে, ফেডারেশনের বাইরে গিয়ে কর্মসূচি দেয়, তাহলে ওই সংগঠনকে ফেডারেশন থেকে বহিষ্কার করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মঙ্গলবার ফেডারেশনের সভায় এই মাসের সব পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু তারা পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
“বহিষ্কারের এখতিয়ার সভাপতি ও মহাসচিবের। আগের সিদ্ধান্ত অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
অষ্টম বেতন কাঠামোতে মর্যাদা পুনর্নির্ধারণ ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা ফেডারেশন ভর্তি পরীক্ষা বর্জনের কোনো ঘোষণা এখনও দেয়নি।
মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন থাকার কথা জানিয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই মোর্চার নেতারা বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবেন তারা।
ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের আগেই বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আলী নূর বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “এটা আমাদের একক সিদ্ধান্ত।”
বহিষ্কারের পর তিনি বলেন, “খবরটি শুনেছি। ভর্তি পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করি।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল হোসেন বলেন, “আমরা তো ফেডারেশনের সদস্য। ফেডারেশনের সদস্য হওয়া মানে ফেডারেশনে বিলীন হয়ে যাওয়া নয়।
“আমরা নিজেদের মতো করেও কর্মসূচি নিতে পারি। সেই আলোকেই আমরা নিয়েছি।”