সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে গুলিবিদ্ধ শিশুর বাবা সাজু মিয়া সুন্দরগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
“মামলায় সাংসদ লিটনকে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে ৩০৭ ও ৩২৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।”
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের ব্র্যাক মোড়ের গোপালচরণ এলাকায় কালাইয়ের ব্রিজের কাছে স্থানীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ছোড়া গুলিতে শুক্রবার ভোরে গুলিবিদ্ধ হয় সৌরভ।
প্রতিদিনের মত ভোরে চাচা শাজাহান আলীর ওরফে সাজা মিয়ার সঙ্গে রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিল সৌরভ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে নিবাচিত এমপি লিটন প্রায় প্রতিদিনই মাতাল অবস্থায় ভোরের দিকে বাড়ি ফেরেন। ঘটনার দিন ভোর ৬টার দিকে নিজের গাড়িতে করে সুন্দরগঞ্জ থেকে বামনডাঙ্গায় বাড়ি ফেরার পথে মাতাল অবস্থাতেই তিনি গোলাগুলিতে জড়িয়েছেন।
সাংসদ লিটন এলোপাতাড়ি পরপর পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুড়লে দুটি গুলি সৌরভের দুই পায়ে বিদ্ধ হয় এবং বাকি তিনটি গুলি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সৌরভের খেলার সঙ্গী তাজুল ইসলামের পরনের লুঙ্গি ভেদ করে বেরিয়ে যায়।
শিশু সৌরভের পায়ে গুলির ঘটনা ছাড়াও সাংসদ লিটনের বিরুদ্ধে তার লাইসেন্স করা একটি পিস্তল ও একটি শটগানের অপব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ থাকায় তার অস্ত্র প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরুর কথা দুপুরে সাংবাদিকদের জানান গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম।
এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ থানায় সাংসদের পক্ষে তার স্ত্রীর বড় ভাই তারিকুল ইসলাম অস্ত্র জমা দেন বলে জানিয়েছেন ওসি ইসমাইল হোসেন।
জমা দেওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে, একটি পিস্তল, একটি শটগান, তিন রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ৫০ রাউন্ড শটগানের গুলি।