ওয়াশিকুর হত্যাকাণ্ড: পলাতক দুজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান ওরফে বাবু হত্যা মামলায় জমা দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই পলাতক সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিসহ তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

পলাতক আসামিরা হলেন- জুনায়েদ ওরফে তাহের ও হাসিব ওরফে আব্দুল্লাহ।

দুই আসামি আরিফুল ইসলাম ও জিকরুল্লাহকে হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থল থেকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল জনতা। তারা এখন কারাগারে রয়েছেন।

অন্য আসামি সাইফুলকে ধারালো অস্ত্রসহ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের আগেই গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম লুৎফর রহমান শিশির পলাতক আসামিদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন বলে আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন।

আলতাফ জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রথমে পৌঁছানো হবে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায়। পরে যাবে পলাতক আসামিদের গ্রামের বাড়ি সংশ্লিষ্ট থানায়।

আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেল কি না অথবা তাদের সম্পত্তি জব্দ করা গেল কি না- এ বিষয়ে আদালতকে আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত ১ সেপ্টেম্বর তারিখে গোয়েন্দা পুলিশ আনসারুল্লাহর পাঁচ সদস্যকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার ঘোষণা দিলেও ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে তা পৌঁছায় পরের দিন।

অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা প্রমাণে মোট ৪০ জন সাক্ষী রয়েছে।

এ মামলায় সন্দেহভাজন আরও কয়েকজনের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে মামালার নথিপত্র থেকে জানা গেছে।

গত ৩০ মার্চ ঢাকার তেজগাঁওয়ে নিজের বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে খুন হন ওয়াশিকুর, যিনি ফেইসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে লিখতেন।

ওই দিনই মামলা করেন ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন মাসুদ। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে।

২৭ বছর বয়সী ওয়াশিকুর তেজগাঁও কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে মতিঝিলের ফারইস্ট এভিয়েশন নামের একটি ট্র্যাভেল এজেন্সিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন। তার বাবার নাম টিপু সুলতান, বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর গ্রামে।

সামহোয়্যারইন ব্লগে ‘বোকা মানব’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থাকলেও তিনি মূলত লেখালেখি করতেন ফেইসবুকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।