গাড়িতে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস (সিএনজি) সরবরাহ বন্ধ থাকায় ঈদের পরদিনের ফাঁকা রাস্তায় বেড়াতে বেরিয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
Published : 26 Sep 2015, 01:54 PM
ঈদের ছুটির সময় ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা এমনিতেই কম থাকে। কোথাও বেড়াতে বা দাওয়াত খেতে যেতে চাইলে প্রধান বাহন হয় সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা রিকশা।
কিন্তু ঈদের দিন শেষে শনিবার প্রথম প্রহর থেকে গ্যাস না পাওয়ায় সকাল থেকে রাস্তায় অটো রিকশা দেখা গেছে একেবারেই কম। ছুটির মধ্যে সব রাস্তায় রিকশা চললেও বেশি দূরত্বের যাত্রীদের তাতে সুবিধা হচ্ছে না, চালকরা ভাড়াও চাইছে বেশি।
র্যামন পাবলিশার্সের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ রহমত উল্লাহ রাজন সকালে ধানমন্ডি থেকে বাংলাবাজার যাওয়ার জন্য বেরিয়ে খাঁ খাঁ রাস্তায় বিপাকে পড়েন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ঈদের সময় অটোরিকশাই চলাচলের প্রধান বাহন। কিন্তু গ্যাস বন্ধ থাকায় সেটাও পাচ্ছি না।”
খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে কথা হয় অটোরিকশা চালক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, গ্যাস কমে আসায় ভোর থেকে রামপুরায় দুটি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে বন্ধ পেয়েছেন। সিলিন্ডারে যা আছে তাতে বিকাল পর্যন্ত চালানো যাবে না।
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঈদের দিন শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা আগেই এসেছিল। এ কারণে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর ফিলিং স্টেশনগুলোতে যানবাহনের লাইন দেখা যায়।
বাসাবোর অটোরিকশা চালক শহীদুল জানান, তিনি রাতে একদফা গ্যাস নিলেও চাপ কম থাকায় সিলিন্ডার ভরেনি। আর অনেক অটোরিকশার সিলিন্ডার সারাদিনের গ্যাস নেওয়ার মত যথেষ্ট বড় না।
ফলে যারা রাতে গ্যাস নিয়েছেন তাদেরও দিন পার করার নিশ্চয়তা নেই। এ কারণে অনেকেই গাড়ি বের করেননি।
মোহাম্মদপুর থেকে যাত্রী নিয়ে মহাখালীতে আসা অটোরিকশা চালক সোলাইমান মিয়া বলেন, যারা রাতে গ্যাস নিতে পেরেছে তারা সকালে বের হয়েছে। গ্যাস শেষ হয়ে গেলে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
“অনেক ড্রাইভার দুপুরের পরে বের হবে। তারা যতক্ষণ পারবে চালাবে। এজন্য রাস্তায় গাড়ি কম।”
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আদৃতা বলেন, ঈদের ছুটিতে রাজধানীবাসী অটোরিকশা, লেগুনা আর অল্প সংখ্যক বাসেই চলাচল করতে পারে।কিন্তু শনিবার সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে বাহন পেতে ঝামেলা পোহাতে হয়েছে তাকে।
“গুলশান যেতে হবে। মোহাম্মদপুর বাসস্টেশন থেকে লেগুনা করে যাব ভেবেছিলাম; কিন্তু কিছুই পাচ্ছি না। রিকশাও অনেক ভাড়া চাইছে।”
দুই বন্ধুর সঙ্গে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল খিলগাঁওয়ের আবীরের। কিন্তু সিএনজি না পেয়ে তাদের যেতে হয়েছে রিকশা, বাসে ভেঙে ভেঙে।
মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার মেসার্স সিটি ওভারসিজ সিএনজি লিমিটেডের কর্মী সাজু রায় জানান, এক সপ্তাহ আগে তাদের নোটিস দিয়ে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে স্টেশন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী তারা গেইট বন্ধ করে বসে আছেন। রাত ১২টায় আবার খুলবেন।