চল্লিশ বছরের ইতিহাসে হজে গিয়ে দুর্ঘটনা ও রোগে ভুগে মারা গেছেন প্রায় চার হাজার মানুষ। সর্বশেষ যোগ হল পদদলিত হয়ে নিহত সাত শতাধিক মানুষের নাম।
Published : 12 Sep 2015, 01:23 AM
সৌদি আরবে কোরবানির ঈদের দিন বৃহস্পতিবার হজের আনুষ্ঠানিকতার শেষ সময়ে পদপিষ্ট এই সাত শতাধিক হাজি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮৬৩ জন।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সম্মেলন হজ। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ মুসলমান সমবেত হন মক্কায়। আর বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর যোগ দেন লাখ খানেক মুসল্লি।
মক্কায় হজের সময় এর আগের দুর্ঘটনাটি মাত্র ১২ দিন আগের। এ বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মক্কার মসজিদ আল-হারামে ক্রেইন উল্টে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন প্রায় ২৩৮ জন।
২০০৬ সালে মক্কার কাবা শরিফের অদূরে বহুতল আল-গাজা হোটেল ভেঙে পড়ে নিহত হন ৭৬ জন এবং আহত হন আরও ৬৪ জন।
একই বছর মিনায় শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মারা যান আরও ৩৪৫ জন।
২০০৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আল-জামারাতে শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মারার সময় পদদলিত হয়ে মারা যান ২৪৪ হাজি।
২০০১ সালের ৫ মার্চ ৩৫ জন হাজি মারা যান ওই আল-জামারাতে একই ধরনের ঘটনায়।
১৯৯৮ সালের ৯ এপ্রিল ১৮০ জন মারা যান হুড়োহুড়িতে হঠাৎ আতঙ্কিত হয়ে। ওই পদদলিত হওয়ার ঘটনাটিও ঘটে আল-জামারাতে, শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময়।
১৯৯৭ সালের ১৫ এপ্রিল মিনায় তাবুতে আগুন লেগে পুড়ে মারা যান ৩৪০ জন। এ ঘটনায় আহত হন আরও দেড় হাজার।
১৯৯৪ সালের ২৩ মে ২৭০ জন মারা যান আল-জামারাতে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ইন্দোনেশীয়।
খালিজ টাইমসের টুইট করা ছবি অনুযায়ী, ওই সময় পর্যন্ত এটিই ছিল সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।
১৯৮৯ সালের ৯ জুলাই মক্কায় দুইটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত হন এক হাজি এবং আহত হন আরও ১৬ জন।
১৯৮৭ সালের ৩১ জুলাই মক্কায় ৪০২ জন হাজি নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ইরানি হাজি। এ ঘটনায় ৬৪৯ জন আহত হন। সৌদি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে শিয়াদের সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে তাবুতে আগুন লেগে গেলে নিহত হন ২০০ হাজি।