নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ‘বর্তমান প্রধান’ মো. আবুল বাশারসহ তিনজনকে ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
Published : 11 Sep 2015, 04:49 PM
ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান শুক্রবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে এই আদেশ দেন।
বাকি দুই আসামি হলেন- আনসারুল্লাহর গণমাধ্যম শাখার সদস্য জুলহাস বিশ্বাস ও জাফরান আল হাসান।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক ফজলুর রহমান তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়েছিলেন।
আসামিদের মধ্যে জাফরানের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক তা নাকচ করে দেন বলে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মাহামুদুর রহমান জানান।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করার পর র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনজনের মধ্যে বাশার আনসাররুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দিন রাহমানীর ভাই। রাহমানী কারাগারে থাকায় বাশারই দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ব্লগার হত্যা ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কার্যক্রম পরিচালিত হতো মূলত জসিম উদ্দিন রাহমানীর নির্দেশে। ওই নির্দেশ আসত তার ছোট ভাই বাশারের মাধ্যমে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটালে জুলহাস ও জাফরানের কাজ ছিল বিভিন্ন নামে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করা।”
র্যাবের দাবি, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একুশে বই মেলায় ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডে মোট পাঁচ জনের একটি দল অংশ নিয়েছিল এবং আড়াই মাস পর ১২ মে তারাই সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যা করে।
এই দলের সদস্য সন্দেহে তৌহিদুর রহমান, আমিনুল মল্লিক, আরিফুল ইসলাম, জাকিরুল প্রকাশ ও সাদেক আলিম মিঠু নামের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের দুই মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদের মধ্যে তৌহিদুর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক, যাকে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।