লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় গ্রেপ্তার ব্রিটিশ বাংলাদেশি মো. তৌহিদুর রহমানসহ দুজনকে সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
Published : 08 Sep 2015, 07:47 PM
তৌহিদুরের সঙ্গে ওই মামলার আসামি আমিনুল মল্লিককে মঙ্গলবার সিলেট মহানগর হাকিম সাহেদুল করিমের আদালতে হাজির করে অনন্ত হত্যায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী বলেন, এই দুই জনসহ মোট পাঁচজনকে অনন্ত বিজয় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।
“এরা লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন।”
অপর তিনজন হলেন- আরিফুল ইসলাম, জাকিরুল প্রকাশ ও সাদেক আলী মিঠু।
সাদেক আলী ছাড়া বাকি চার জনকে এদিন আদালতে হাজির করা হয় বলে পরিদর্শক আরমান জানান।
তিনি বলেন, “শুনানি শেষে তৌহিদ ও আমিনুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়া হয়। তবে আরিফুল ইসলাম ও জাকিরুল প্রকাশকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন আদালত আমলে নেয়নি।”
সাদেক আলীকে আদালতে হাজির না করায় তার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি বলে জানান তিনি।
আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে বলে জানান তিনি।
গত ১৭ অগাস্ট ঢাকার নীলক্ষেত ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে তৌহিদুর রহমান, সাদেক আলী ও আমিনুল মল্লিককে আটক করে র্যাব। পরে তাদের গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খুন হওয়া ব্লগার-লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ব্রিটিশ নাগরিক তৌহিদুর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অর্থের যোগানদাতা এবং অভিজিৎ ও অনন্ত হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আর সাদেক ও আমিনুলও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য বলে দাবি তাদের।
গত ১২ মে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারে নিজের বাসার সামনে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এর আগে এই হত্যা মামলায় সিলেটের ফটোসাংবাদিক ইদ্রিস আলী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মান্নান রাহী ও তার ভাই মোহাইমিন নোমান এবং আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদের মধ্যে মান্নান রাহী ব্লগার অনন্ত হত্যায় ‘দোষ স্বীকার’ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।