তিনি বলেছেন, “আবহমানকাল থেকে এ দেশের সকল ধর্মের অনুসারীরা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছে। সমাজে বিদ্যমান ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তা জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে কাজে লাগানোর জন্য আমি দেশের সকল নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।।”
শনিবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে বঙ্গভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষে দেশ-বিদেশের সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, “মানব প্রেমের প্রতীক শ্রীকৃষ্ণের ভাবধারা ও আদর্শ ছিল সমাজ থেকে হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলা।
“তিনি আজীবন মানবতার মুক্তির পথ খুঁজেছেন। সৃষ্টিকর্তার বন্দনা ও আরাধনার মাধ্যমে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির আবহ সৃজনে তার আদর্শ সমভাবে প্রযোজ্য। মানব কল্যাণ ও মানবতার সেবাই ধর্মের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ।”
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রবেশানন্দ মহাহারাজসহ হিন্দু ধর্মীয় নেতারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ এবং নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকউটার রানা দাশগুপ্ত, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।