মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল-২০১৫’ উত্থাপন করেন সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
পরে বিলটি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
এনজিও কার্যক্রম বর্তমানে পরিচালিত হয় ১৯৭৮ ও ১৯৮২ সালের দুটি অধ্যাদেশ দিয়ে। সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশ দুটি একত্র করে নতুন আইন করতে বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা যাবে না।
এনজিওতে বিদেশি উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বারষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ছাড় নিতে হবে। বিদেশি অনুদান একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে (মাদার অ্যাকাউন্ট) থাকতে হবে। ব্যয়ের হিসাব অডিট করার পর এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে দিতে হবে।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এসব বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে।
আইন না মানলে প্রথমে সতর্ক করা হবে। নিবন্ধন বাতিল ও জরিমানার বিধানও আইনে রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি,সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারী, এই আইনের অধীন নিবন্ধিত এনজিও বা সংস্থার কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তালিকাভুক্ত বা নিষিদ্ধ ব্যক্তি বা সত্ত্বাও বিদেশি অনুদান নিতে পারবে না বলে প্রস্তাবিত আইনে বলা আছে।
এরপর দিনের সম্পূরক কার্যসূচিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিল-২০১৫ সংসদে উত্থাপন করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের পক্ষে বিলটি উত্থাপন করেন তিনি।
পরে বিলটি তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।