তার সঙ্গে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদও ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টার ঘটনাস্থল বড় মোদক পৌঁছে বলে বান্দরবান জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. শামীম হোসেন জানান, সার্বিক পরিস্থিতি ও ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার পর হেলিকপ্টারযোগে বড় মোদক ঘটনাস্থলে গেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
বিজিবির বান্দরবান সেক্টরের মেজর জহির উদ্দিন বাবর জানান, বুধবার সকালে গোলাগুলির ঘটনার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তারা সতর্কাবস্থায় রয়েছেন এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান মেজর জহির।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে থানচির বড় মোদক এলাকায় ওই গোলাগুলির সময় এক বিজিবি সদস্য আহত হন।
প্রায় ৫ ঘণ্টা থেমে থেমে গুলি বিনিময় এবং বাংলাদেশের সেনা ও বিজিবির যৌথ অভিযানের পর বিকালে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পিছু হটে।
এদিকে, বুধবার রাতে বান্দরবান ও রাঙামাটির মধ্যবর্তী রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার তাইদং পাড়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ চার ঘণ্টা যৌথ অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ সংগঠন আরাকান আর্মির এক ‘সহযোগীকে’ আটক করা হয়েছে।
ওই সময় আটক অং ইউ ইয়াং রাখাইনের (২০) জিম্মায় দুটি ঘোড়া, আরাকান আর্মির তিন সেট পোশাক, পোশাকের ৩০ গজ কাপড়, তিনটি ল্যাপটপ, দুটি ডিজিটাল ক্যামরা, একটি হ্যান্ডিক্যাম, মোটর সাইকেলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।