এই সময়ের মধ্যে দুদককে লিভ টু আপিল করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
দুদকের করা আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়।
এই আদেশের ফলে খন্দকার মোশাররফ আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষও একটি আবেদন করেছিল, যা শুনানির অপেক্ষায় আছে।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক।
মামলা হওয়ার পর তিনি হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলেও আপিল বিভাগ পরে তা বাতিল করে। এরপর গতবছর ১২ মার্চ গুলশানের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খন্দকার মোশাররফের দাবি, মামলায় যে অর্থ পাচারের কথা বলা হয়েছে তা অবৈধভাবে অর্জিত নয়, পাচারও করা হয়নি।
গত বছর ২০ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত এ মামলায় খন্দকার মোশাররফের জামিন নাকচ করে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ৯ ডিসেম্বর হাই কোর্টে আপিল করেন ওই বিএনপি নেতা। যার ওপর শুনানি শেষে হাই কোর্ট গত ১৯ অগাস্ট শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে।
দুদকের আইনজীবী ওই জামিনের আদেশ স্থগিতের জন্য পরদিন চেম্বার আদালতে আবেদন করলে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি বৃহস্পতিবার আপিল বেঞ্চে ওঠে। দুদকের পক্ষে সেখানে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। খন্দকার মোশাররফের পক্ষে ছিলেন নিতাই রায় চৌধুরী।
খুরশীদ আলম পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে লিভ আপিল করতে বলেছেন। এর সঙ্গে বিচারিক আদালতের নথিপত্রও জমা দিতে হবে।”