নিউইয়র্ক সময় রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চরম-দারিদ্র্যমুক্ত, পরিবেশ সুরক্ষিত ও নিরাপদে বসবাসউপযোগী বিশ্ব তৈরির এই ঐতিহাসিক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
দুই বছরের প্রচেষ্টায় গৃহীত এই খসড়া প্রস্তাবের লক্ষ্যমাত্রার চূড়ান্ত করতে আসছে সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখ থেকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তিনদিনব্যাপী ‘টেকসই উন্নয়ন শীর্ষ সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হবে।
এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদীসহ ১৫০ দেশের প্রেসিডেন্ট/প্রধানমন্ত্রী, ১৯৩ দেশের শীর্ষস্থানীয় সরকারী কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ধর্মীয় নেতারা অংশ নেবেন।
‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য’ শীর্ষক এই প্রস্তাবের ১৭টি ধারার অধিকাংশই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়েছিল।
এই প্রস্তাব গ্রহণের আগে প্রায় ১৮টি দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিরা খসড়া নিয়ে আলোচনা করেন ও ৩৮টি দেশ ও গোষ্ঠী প্রস্তাব গ্রহণের পর বক্তব্য রেখেছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের দূত একে এ মোমেন প্রায় তিন দিনের এই আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রস্তাব গ্রহণের আগে বক্তব্য রেখেছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে টেকসই উন্নয়ন পরিক্রমায় খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, টেকনোলজি ট্র্যান্সফার, পরিবেশ সুরক্ষা, সুষম উন্নয়ন, দারিদ্র-বিমোচনসহ মোট ১৯টি প্রস্তাব ছিল বাংলাদেশের। এগুলোকে জাতিসংঘের এজেন্ডায় পরিণত করতে বাংলাদেশকে নিরন্তরভাবে কাজ করতে হয়। এর মধ্যে ১৫টি জাতিসংঘের এজেন্ডা হিসেবে ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহিত হওয়ায় আমরা যারপর নাই খুশী।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতির কার্যক্রম আজ জাতিসংঘের সামনের ১৫ বছরের উন্নয়ন লক্ষ্যে পরিণত করার ‘খসড়া’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলো, যা বাংলাদেশের জন্যে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।”
খসরা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের এ বিশ্বকে নিরাপদ পরিবেশে কাঙ্খিত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ‘ট্র্যান্সফর্মিং আওয়ার ওয়ার্ল্ড: দ্য ২০৩০ এজেন্ডা ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ খসড়া প্রস্তাব জনগণের লক্ষ্যপূরণে কাজ করবে।
“এসব এজেন্ডা স্থিরীকরণে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যেভাবে আলোচনা-পর্যালোচনা করেছেন, তা আমাকে অভিভূত করেছে। মানবতার সত্যিকারের কল্যাণে এমন মানসিকতা সদা জাগ্রত রাখতে হবে। একইভাবে বিশ্বের সুশীল সমাজকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে টেকসই উন্নয়নের এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে।”