রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে পানি

প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটি শহরে পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুতে পানি উঠেছে।  

রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 August 2015, 11:40 AM
Updated : 3 August 2015, 11:40 AM

এদিকে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি স্পিলওয়ে  দিয়ে পানি ছাড়া হলেও হ্রদের পানির চাপ কমানো যাচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। 

বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন রাঙামাটির ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, টানা বর্ষণ ও উজান  থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে ঝুলন্ত সেতুটি রোববার বিকাল  থেকে এক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 

“সোমবার সকাল থেকে সেতুর দুই পাশে প্রবেশ পথে গাছ দিয়ে আটকে দেওয়াসহ লাল পতাকা দিয়ে সতর্কতা জারি করে পর্যটকদের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”

ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যাওয়ায় বর্তমানে টিকিট বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেতুটির পাটাতন যেন পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য কাজ করছেন কর্মচারীরা।

পানি কমে যাওয়ার পর সেতুর পাটাতন মেরামতসহ চলাচলের জন্য নিরাপদ রয়েছে কি না দেখে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে  দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

ঢলে হ্রদের পানি ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে।

কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. আবদুর রহমান জানান, কাপ্তাই হ্রদে স্বাভাবিক অবস্থায় ৯০.০ এমএসএল (মীন সী লেভেল) পানি থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে পানি আছে ১০৬.৩ এমএসএল।

“অর্থাৎ বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৬.৩ এমএসএল  পানি বেশি রয়েছে।

“হ্রদে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। এ উচ্চতা অতিক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় বাঁধ রক্ষায় অতিরিক্ত পানি স্পিলওয়ে দিয়ে ছেড়ে দিতে হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, পানির চাপ কমাতে দিনরাত কেন্দ্রের ৫টি বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট চালু রেখে সর্বোচ্চ ২৩৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে প্রতিদিন।

“বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে গেলেও চাপ কমানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রোববার সন্ধ্যা থেকে স্পিলওয়ে দিয়ে পানি ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”

আগামী ৪৮ ঘণ্টা এ অবস্থা বলবৎ থাকবে। অবস্থার উন্নতি না হলে পানি ছাড়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান তিনি।