বিশ্বকে দেখিয়েছি আমরা পারি: জয়

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, লক্ষ্যের ছয় বছর আগে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উন্নীত হয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, এ দেশের মানুষ নিজেরাই নিজেদের এগিয়ে নিতে পারে।

রিয়াজুল বাশার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2015, 11:12 AM
Updated : 31 July 2015, 04:31 PM

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর কেআইবি মিলনায়তনে ‘লেটস টক’ নামের এক অনুষ্ঠানে দুই শতাধিক তরুণের সামনে আসেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়।

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যানের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু আমরা শুনেছিলাম যে, হ্যাঁ আমরা পরিণত হব। আগে থেকেই খবর পেয়েছি, আমাদের পরিসংখ্যানও সবদিক দিয়েই পৌঁছে গেছি। অফিশিয়াল ঘোষণাটা বাকি ছিল।

“আমাদের ওয়াদা ছিল, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করব। নিম্ন-মধ্যম আয়ে পৌঁছেছি। তবে সেই ২০২১ সালের ছয় বছর আগে।”

চলতি মাসের শুরুতে বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে তাদের সূচকে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশের কাতারে এসেছে।

শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।

এ বিষয়টি নিয়েই ‘লেটস টক ইউথ সজীব ওয়াজেদ জয় অন বাংলাদেশ এচিভিং মিডল ইনকাম স্ট্যাটাস’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই);  যে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন জয় নিজেই।

তিনি বলেন, “এটা আমাদের গর্বের বিষয় যে, এত মানুষ, জমি এত কম, তারপরও সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি যে, আমরা পারি, আমরা নিজেরাই পারি; আমাদের কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। আমরা নিজেরাই এ দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, উন্নত করতে পারি।”

বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ায় বিদেশের অনেকেই ‘আশ্চর্য’ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়।

“তাদের ধারণা ছিল বাংলাদেশ দরিদ্র, সেখানে মানুষ না খেয়ে থাকছে। এখন যখন শোনে যে বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ না, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ; তারা আশ্চর্য  হয়। এত অল্প সময়ে কীভাবে সম্ভব হল!”

বিভিন্ন খাতের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে প্রধানন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, গত ছয় বছরে ‘প্রতিটি খাতের’ উন্নতি হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে।

“এটা করা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। ১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশ এত শ্লো গতিতে এগিয়েছে যে কেউ কল্পনা করেনি যে, এত দ্রুত আগাতে পারবে।”

কখন দ্রুত এগিয়েছে বাংলাদেশ- প্রশ্ন করে জয় নিজেই উত্তর দেন, “যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন।”

আর বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তার কৃতিত্ব নিজের মা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেন জয়।

তিনি জানান, ২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর কারাবন্দি হলে জেলখানায় বসে শেখ হাসিনা রূপকল্প-২০২১ এর পরিকল্পনা করেছিলেন।

“আর মানুষের ভোটে ক্ষমতায় এসে সেটা বাস্তবায়ন করার সুযোগ পেয়েছেন আমার মা।”

দেশের এই উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

যুক্তরাষ্ট্রের রুজভেল্ট, মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ ও সিঙ্গাপুরের লি কুয়াং ইউ’র একটানা কয়েক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের দেশে সেটা হয়নি। সে কারণে আমরা এগোতে পারিনি। এবার হয়েছে। আর আমার বিশ্বাস, শেখ হাসিনাকে যদি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে যদি বাংলাদেশের মানুষ তিন চারবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় রাখে, তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন আর কেউ ঠেকাতে পারবে না।”

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তার ছেলে বলেন, “উনার নেতৃত্বে যে দ্রুতগতিতে বাংলাদেশ এগোচ্ছে তাতে সারা বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে। কল্পনা করে দেখেন, আর ১০ থেকে ১৫ বছর যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে তাহলে দেশ কোথায় যাবে!”

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর করা জয় কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে থেকেই নীতি প্রণয়ন ও প্রচার কাজে সহযোগিতা করে আসছেন তিনি।

দুর্নীতি দমন ও সামাজিক নিরাপত্তা

জয় বলেন, বাজেট বড় হওয়ায় এর বাস্তবায়ন নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেন।

“তবে বাস্তবতা হচ্ছে, সরকারের আয় বেড়েছে বলেই বাজেট বেড়েছে। অর্থনীতি বেড়েছে। অর্থনীতি বাড়লে সরকারের আয় বাড়বেই। আর বাজেট বৃদ্ধির ফলে সেখান থেকে মানুষের সেবার জন্য সামাজিক নিরাপত্তায় বড় ধরনের বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।”

গত ছয় বছরে বাজেটের আকার চারগুণ বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতি কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশে। আগে সরকারের আয়ের টাকা দুর্নীতি হয়ে পাচার হয়ে যেত। এখন সেটা হচ্ছে না।

প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টার দাবি, সরকারের ‘বেশিরভাগ অর্থ’ দেশের মানুষের কাজে লাগছে। রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ বানাতে, হাসপাতাল বানাতে ব্যয় হচ্ছে।

“তবে হ্যাঁ, দুর্নীতিমুক্ত আমরা ‘রাতারাতি’ হব না। পাঁচ বছরে হব না। আমাদের আশা আছে, আস্তে আস্তে আমরা বাংলাদেশকেও দুর্নীতিমুক্ত করব। তবে সাবেক সরকারগুলোর তুলনায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতি এত কমে এসেছে যে, সরকারের আয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের সেবায় পৌঁছচ্ছে।”

রেলে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে- উপস্থিত একজনের এমন মন্তব্যের পর জয় বলেন, “যদি দুর্নীতি হয়, তাহলে আপনারা লিখিত অভিযোগ দেবেন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। আমরা দেখে নেব। আমরা এসব সহ্য করি না।”

শহুরে দারিদ্র

শহরে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমানোর জন্য সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে- জয়ের কাছে তা জানতে চান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী।

উত্তরে জয় বলেন, শহরে আয়ের সুযোগ গ্রামের চেয়ে বেশি বলে আগে গ্রামের মানুষ শহরে চলে আসত। এতে শহরে দরিদ্র মানুষের সংখ্যাও বাড়ত।

“আমরা যেটা চেষ্টা করেছি এবং বেশ সফল হয়েছিল... যেমন: আশ্রয়ণ প্রকল্প। সেখানে বহু মানুষ কর্মসংস্থান পেয়েছে এবং ঘর পেয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, যারা গ্রাম থেকে শহরে আসছে তাদের ইনসেনটিভ দিয়ে আবার গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।”

আগে গ্রামে সড়ক অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ না থাকাসহ ‘নানা অসুবিধা ছিল’ মন্তব্য করে জয় বলেন, বর্তমান সরকার গ্রামে রাস্তাঘাট ও বিদ্যুতের সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।

বর্তমানে দেশের ৭০ ভাগের বেশি মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে জানিয়ে সরকারের এ মেয়াদেই এই হার ১০০ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আয় বৈষম্য প্রসঙ্গে জয় বলেন, দেশের অর্থনীতির আকার বাড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ছে, ‘স্বাভাবিকভাবেই বাড়েছে’ ধনীর সংখ্যা।

“আর এই বাণিজ্যের কারণেই কিন্তু তারা হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান দেয়। এবং তাদের আয় বেড়েছে বলে তাদের কর্মচারীদের বেতনও বাড়াতে পেরেছে।”

পাশাপাশি গ্রাম ও নিম্ন আয়ের মানুষের আয়ও বেড়েছে দাবি করে জয় বলেন, “দারিদ্র্যের হার কমে যাওয়ায় গত ছয় বছরে একজনও খাদ্যের অভাবে প্রাণ হারাননি; যেখানে আগে মানুষ না খেয়ে মারা যেত।”

তিনি দাবি করেন, আগের সরকারগুলো ‘শহরের বাইরে নজর না দিলেও’ আওয়ামী লীগ সরকার তা দিয়েছে।

মাদক

কুড়িগ্রাম থেকে লেটস টকে অংশ নিতে আসা একজন বলেন, তার এলাকায় বেশিরভাগ মানুষ মাদক বিক্রি ও গ্রহণের সঙ্গে জড়িত। কীভাবে এটা ঠেকানো যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার কাছে তিনি তা জানতে চান।

উত্তরে জয় বলেন, শুধু বাংলাদেশ না, যুক্তরাষ্ট্রেও মাদকের সমস্যা রয়েছে। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে অনেকে ঝুঁকি নিয়েও এই চোরা কারবারে জড়ায়। আর সীমান্ত এলাকাগুলোতেই এ প্রবণতা বেশি।

“মাদক ব্যবসার ওপর আমরা নজর রাখছি। দমন করার চেষ্টা করছি। প্রত্যেক সপ্তাহে কেউ না কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে,” বলেন জয়।

পাশাপাশি মাদকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সমাজে ও তরুণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির কথাও বলেন তিনি।

মানবোন্নয়ন

লেটস টকে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজন মানব সম্পদ উন্নয়ন, বিশেষ করে শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রশ্ন করেন।

তিনি বলেন, “আগে স্কুলের অভাব ছিল, শিশুরা স্কুলে যেতে পারত না। আর এখন সেটা বলছে না। এখন বলছে, আমাদের গবেষণা ইন্সটিটিউট আরও বেশি করে প্রয়োজন। আগে স্কুলের যাওয়ার কথাই চিন্তা করতে পারত না।”

বর্তমানে ১০০ শতাংশ ছেলেমেয়ে প্রাথমিকে ভর্তি হচ্ছে জানিয়ে জয় বলেন, “আমরা বিনামূল্যে যে পরিমাণ বই দিচ্ছি তা বিশ্বের কোনও দেশ পারেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার পেরেছে।”

একজন প্রশ্ন করেন- দেশের যে মেধাবী ছেলেমেয়েরা বিদেশে চলে যাচ্ছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ আছে কি না?

জয় বলেন, “অনেকেই বিদেশে লেখাপড়া করতে গিয়ে থেকে যাচ্ছেন। আবার আমার পরিচিত একজন হার্ভার্ড থেকে দেশে ফিরে এসেছেন।

“এটা ঠিক যে, বিদেশের মত অত বেতন বাংলাদেশে নেই। তবে সরকারের আয় যত বাড়বে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য যত বাড়বে বেতনও তত বাড়বে। বেতন বাড়লে দেশের বাইরে অনেকেই যেতে চাইবে না।”

এ সময় গত ছয় বছরে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ‘চার গুণ’ বৃদ্ধি এবং বেসরকারি খাতেও বেতন বাড়ার কথা তুলে ধরেন জয়।   

একজন শিক্ষার্থী প্রশ্ন করেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ‘কম হওয়ায়’ উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছে। সরকার এক্ষেত্রে ছাত্রদের ভর্তুকি দিতে পারে কি না।

জয় বলেন, “আমরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য কোনোদিন ভর্তুকি দেব না। যেটা আমরো করব, আমরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা আরও বাড়াব।”

কওমী মাদ্রাসা

দেশে কওমী মাদ্রাসায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস না পড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে।

“স্বাধীনতার ইতিহাস কারিকুলামে আওয়ামী লীগ সরকার এনেছে। তবে সেই কারিকুলাম কওমী মাদ্রাসা ফলো করে না। এখানে শুধু স্বাধীনতার ইতিহাস না, বলা আছে যে, বিজ্ঞানে এই এই শিক্ষা দিতে হবে, অংকে এই এই শিক্ষা দিতে হবে, ইংলিশে এই শিক্ষা দিতে হবে।

“কওমী মাদ্রাসার কারিকুলাম আমরা সরাসরি কন্ট্রোল করতে পারি না। তাদের অর্থ বাইরে থেকে, বেশিরভাগ মধ্য-প্রাচ্য থেকে আসে। তবে যেটা আমরা তাদের বলি যে, তোমরা যদি তোমাদের কারিকুলাম বাংলাদেশ সরকারের কারিকুলামের সাথে মিলিয়ে নাও তাহলে তোমাদের স্টুডেন্টরা বাংলাদেশ সরকারের চাকরিতে সুযোগ পাবে, তারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে। তখন বোঝা যাবে যে, তারা সেই স্ট্যার্ডার্ড মিট করে।”

সেই মান পূরণ না করায় মাদ্রাসার ছাত্ররাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন জয়।

অন্যদের মধ্যে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি,  প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, শাহরিয়ার আলম ও জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।