বুধবার বিকালে মানিকগঞ্জ শহরের উত্তর সেওতা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি আমিনুর রহমান।
মৃত আশিকুর রহমানের (৩৪) বাড়ি ঢাকার ধামরাই উপজেলায় এবং তার স্ত্রী সাথী আক্তার (৩০) মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নলকুড়িয়া গ্রামের হামিদ প্রধানের মেয়ে।
ওসি আমিনুর বলেন, সাত মাস আগে উত্তর সেওতা এলাকার একটি বাসা ভাড়া নেয় এই দম্পতি। তাদের সঙ্গে সাথীর স্বামী পরিত্যক্তা বোন রানু আক্তারও থাকতেন। সম্প্রতি পারিবারিক বিষয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
“বুধবার বেলা ৩টার দিকে রানু ছাদে ছিলেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে বাথরুমে সাথীকে ছোরা দিয়ে জবাই করেন আশিকুর। পরে কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।”
ছাদ থেকে নেমে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেন রানু। দরজা না খোলায় পাশের বাসার লোকজন এসেও ডাকাডাকি করেন। এরপরও দরজা না খোলায় তারা পুলিশে খবর দেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুর।
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে আশিকের লাশ ঝুলতে এবং পাশের বাথরুমে সাথীর গলাকাটা লাশ দেখতে পায়।
লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
“মৃত্যুর আগে আশিক একটি চিরকুট লিখে গেছেন, যাতে ঘটনার জন্য তিনি নিজেই দায়ী বলে উল্লেখ করেন,” বলেন পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুর।