মাগুরা শহরে যুবলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবদ্ধ নবজাতককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
Published : 26 Jul 2015, 08:18 PM
রোববার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয় বলে জানান মাগুরা সদর থানার ওসি মুন্সি আছাদুজ্জামান।
এর আগে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগমের শরীরে অস্ত্রোপচার করে গুলবিদ্ধ অবস্থায় শিশুটিকে ভূমিষ্ঠ করানো হয়।
তবে তার অবস্থা আশংকামুক্ত না হওয়ায় সকালে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে চিকিৎসক জানান।
এদিকে, ওই সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় শুক্রবার রাতে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাগুরা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেন, “শিশুটি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি প্রি-ম্যাচিউরড হওয়ায় তার জীবন শঙ্কামুক্ত নয়, যে কারণে তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
ওসি মুন্সি আছাদুজ্জামান জানান, মাগুরা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহর প্রচেষ্টা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পুলিশ বিভাগের তত্ত্বাবধানে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলেও জানান তিনি।
ওসি আরও জানান, সংঘর্ষে যুবলীগকর্মী কামরুলের চাচা আব্দুল মোমিন নিহত হওয়ার ঘটনায় সুমন ও সুবহান নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“শুক্রবার রাতে মোমিন মারা যাওয়ার পর তার ছেলে রুবেল ভুইয়া ১৬ জনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়েরের পর রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”
অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে শনিবার মোমিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
রোবরার শহরের দোয়ারপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, মোমিনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। প্রিয়জনকে হারানোর শোকে নির্বাক হয়ে পড়েছেন স্বজনরা।
মোমিনের ছেলে রুবেল বলেন, সন্ত্রাসীর গুলিতে নিরাপরাধ মানুষটির অকাল মৃত্যু তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
মোমিনের ভাতিজা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাকি ইমাম বলেন, এ ঘটনায় এলাকার মানুষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ-মানববন্ধন করেছে।
এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে প্রশাসনের কাছে দাবিও জানান তিনি।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা শহরের দোয়ারপাড় এলাকায়
যুবলীগকর্মী কামরুল ভুইয়ার সঙ্গে সাবেক যুবলীগকর্মী মহম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের দিন প্রতিপক্ষের গুলিতে কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভুইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা বেগম, চাচা আব্দুল মোমিন ও প্রতিবেশী মিরাজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।